নয়াদিল্লি: টানা লকডাউনের ধাক্কায় ধুঁকতে থাকা দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার উপায় খুঁজতে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ লকডাউনের জেরে দেশের সমস্ত বড় বড় শিল্প বন্ধ৷ অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছে একাধিক ক্ষেত্র৷ এই অবস্থায় অর্থনীতিকে আইসিইউ-তে যাওয়া থেকে রুখতে কী পন্থা গ্রহণ করা হবে তা নিয়েই নমোর সঙ্গে কেন্দ্রীর অর্থমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চের ২৫ তারিখ থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ কিন্তু তাতেও লাগাম টানা যায়নি৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও ১৯ দিন লকডাউন ঘোষণা করেন তিনি৷ বর্ধিত লকডাউন চলবে ৩ মে পর্যন্ত৷ মানুষের জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি জীবিকা বাঁচাতে দ্বিতীয় দফায় বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র৷
বুধবার লকডাউনের নয়া নির্দেশিকার কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, আগামী ২০ এপ্রিল থেকে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি, ই-কমার্স ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় পরিবহণের ক্ষেত্রে ছাড়া দেওয়া হবে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য এবং সাধারণ পণ্য উভয় ক্ষেত্রেই পরিষেবার ছাড় পাবে অনলাইন সংস্থাগুলি৷ ছাড় থাকছে কৃষিকাজ ও কৃষি বিপণনে৷ ২০ তারিখ থেকে খোলা থাকবে হাইওয়ের দু’ধারে থাকা ধাবা ও গাড়ি মেরামত কেন্দ্রগুলি৷ এই পরিস্থিতিতে করোনা সতর্কতা বজায় রেখেও কী ভাবে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা যায়, সেই বিষয়ে আরও একবার আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িতে গত মাসে বেশ কিছু আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র৷ প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করার সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই কঠিন পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব দরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে আমারা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ৷’’ এই প্রকল্পে আগামী তিন মাসের জন্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য ও তিন মাসের গ্যাসের দাম দেওয়ার পাশাপাশি মহিলাদের জনধন অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে, তিন মাসে ১৫০০ টাকা দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে৷ ব্লুমগার্গের রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ লকডাউন পর্বের জেরে গত চার দশকের মধ্যে এই প্রথম এতবড় ধাক্কা খেল ভারতের অর্থনীতি৷