‘গাছের নিচে বসে অক্সিজেন নিন’, মরণাপন্ন রোগীকে পরামর্শ যোগীর পুলিশের!

‘গাছের নিচে বসে অক্সিজেন নিন’, মরণাপন্ন রোগীকে পরামর্শ যোগীর পুলিশের!

 
প্রয়াগরাজ: ফের উত্তরপ্রদেশ সংবাদ শিরোনামে। ফের কাঠগড়ায় যোগীর পুলিশ৷ করোনা রোগীদের গাছের তলায় বসে অক্সিজেন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ উঠল৷ প্রয়াগরাজের পুলিশ এই অদ্ভুত নির্দেশ দিয়েছে করোনায় আক্রান্ত রোগীর আত্মীয়দের।

সম্প্রতি একটি সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করোনা রোগীর এক আত্মীয় জানিয়েছেন, তাঁর করোনা পজিটিভ আত্মীয়কে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে বাড়িতেই রেখেছিলেন তাঁরা। তবে বাড়িতেও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়। এক রোগীর আত্মীয় জানিয়েছেন, ‘যেখানেই অক্সিজেনের জন্য যাচ্ছি আমাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতাল ও অক্সিজেন প্ল্যান্টগুলির বাইরে অক্সিজেন নেই বলে বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ কোনও কথাও বলছেন না। আমি ঢোকার চেষ্টা করায় পুলিশ আমাকে তাড়া করেছিল।’

অথচ বাড়িতে তাঁদের করোনা রোগীর অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। তিনি জানতে চান, ‘তাহলে কোথায় গেলে অক্সিজেন পাব? কেউ আমাদের কথার উত্তর দেওয়ারও প্রয়োজন মনে করেননি। প্রয়াগরাজ থেকে লখনউয়ের সব হাসপাতালে চেষ্টা করেছি। কেউ ভর্তি নেয়নি। তাহলে কোথায় যাব আমরা?’ আর এক করোনা রোগীর আত্মীয়ের দাবি, কোথাও কোনও অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। পুলিশকে জিজ্ঞেস করা হলে, অশ্বত্থ গাছের নিচে বসে অক্সিজেন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘এক পুলিশকর্মী আমাকে বলেছেন, মাকে নিয়ে গাছের তলায় বস এবং অক্সিজেন নাও।’

অথচ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের দাবি, রাজ্যের কোথাও অক্সিজেনের কোনও ঘাটতি নেই। এমনকি কেন্দ্রের তরফে অক্সিজেন সরবরাহের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই লখনউ, বারাণসী, গোরখপুর, আগ্রা, আলিগড়, প্রয়াগরাজ, মেরঠ, মথুরা, গৌতম বুদ্ধ নগর, গাজিয়াবাদ, কানপুর, ঝাঁসি, মোরাদাবাদ-সহ একাধিক জায়গায় অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হয়েছে। অথচ বাস্তব ছবি অন্য কথা বলছে৷ করোনায় আক্রান্ত রোগীর আত্মীয়রা প্রয়াগরাজের বিজেপি বিধায়ক হর্ষবর্ধন বাজপেয়ির বাড়ির সামনে ভিড় করেছিলেন। ওই বিধায়কের একটি অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে, যদিও তা এখন উত্তরপ্রদেশ সরকারের অধীনে। সেখান থেকেই নিয়মিত রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। তবে কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − ten =