মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুত মৃত্যু মামলায় নয়া মোড়৷ রিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য তাঁর উপর সুশান্তের পরিবার চাপ সৃষ্টি করছে বলে মুম্বই পুলিশের কাছে ই-মেল পাঠালেন অভিনেতার বন্ধু তথা রুমমেট সিদ্ধার্থ পিথানি৷ এই বিষয়টি জানিয়েছেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং-এর আইনজীবী বিকাশ সিং৷
আরও পড়ুন- রিয়ার বিরুদ্ধে FIR দায়ের হতেই রহস্যময় টুইট মহেশ ভাটের
পিথানি জানায়, রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ কোটি টাকা সরানোর যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই বিষয়ে মুখ খোলার জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে৷ কিন্তু কেকে সিং-এর আইনজীবী বিকাশ বলেন, ‘‘গত ২৫ জুন পর্যন্তও সুশান্তের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন পিথানি৷ তিনিই সুশান্তের বাবাকে বলেছিলেন, অভিনেতার মৃত্যুর পিছনে রিয়ার হাত থাকতেও পারে৷ কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি ভোলবদল করছেন৷ এর কারণটা আমি জানি না৷ তবে আশা করি খুব শীঘ্রই এই মামলার গভীরে পৌঁছতে পারবে পুলিশ৷ এই ঘটনায় পিথানির ভূমিকা কতখানি ছিল এবং তিনি কোনও তথ্য গোপন করেছেন কিনা, সবটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে৷’’
আরও একটি প্রশ্ন তুলেছেন বিকাশ৷ তিনি বলেন, ‘‘ এটা ভেবে অবাক লাগছে যে, যদি এই ই-মেলটি শুধুমাত্র মুম্বই পুলিশের কাছেই পাঠানো হয়ে থাকে, তাহলে এটি রিয়ার কাছে পৌঁছল কী ভাবে? মেলটি প্রকাশ্যে আসার আগেই সুশান্তের বাবার করা এফআইআর-এর বিরুদ্ধে কী ভাবে সুপ্রিম কোর্টে তাঁর আবেদনে এই ই-মেলের কথা উল্লেখ করলেন রিয়া? মুম্বই পুলিশ নিশ্চই তা দেননি৷ আর পিথানি যদি এই মেলটি রিয়াকেও পাঠিয়ে থাকেন, তাহলে তার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে৷’’
বিকাশ সিং আরও একটি প্রশ্ন তুলেছেন পিথানির বিরুদ্ধে৷ তিনি বলেন, সুশান্তের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন পিথানি৷ ঘটনার দিনও তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷ কিন্তু উনি সুশান্তের বোন মিতুকে ফোন করে বলেন যে, সুশান্ত ঘরের দরজা খুলছেন না৷ অথচ এই পরিস্থিতিতে সবার আগে অবিলম্বে দরজা ভেঙে ফেলার কথাই মাথায় আসে৷ কিন্তু তিনি তা করেননি৷ সুশান্তের বোন না আসা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা হাত পা গুটিয়েই বসেছিলেন সেখানে৷
এদিকে পিথানির বক্তব্য, সুশান্তের পরিবার যে বিষয়ে মুখ খোলার জন্য বলছেন, সেই বিষয়ে তিনি কিছু জানেনই না৷ এই ১৫ কোটি টাকা সম্পর্কে কোনও ধারনা নেই তাঁর৷
অন্যদিকে, এদিন বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ বলেন, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে যে আলোচনা হচ্ছে, তা অত্যন্ত শিশুসুলভ৷ এর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় সুশান্তকে শান্তিতে থাকতে দেওয়া উচিত৷ ওঁকে একা ছেড়ে দিন৷’’
আরও পড়ুন- ক্রমশ জটিল হচ্ছে সুশান্ত মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া, নেটপাড়ায় তুমুল চর্চা
আবার সুশান্তের প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখান্ডে বলেন, প্রথম দিন থেকেই সুশান্ত জানতেন তাঁকে নেপোটিজমের শিকার হতে হবে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার মনে হয় না এই বিষয়টির জন্য তিনি চাপের মধ্যে ছিলেন৷ মনে হয় না কেরিয়ারের জন্য এত বড় পদক্ষেপ করেছেন সুশান্ত৷ এর পিছনে অন্য রহস্য আছে৷ তাঁর মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে৷’’