চন্ডীগড়: ২১ দিন লক ডাউন জারিতেও সমস্যায় পড়বে না দেশবাসী, এমনই ঘোষণা শোনা গেছে সরকারের তরফে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মধ্যে পড়ছে গবাদি পশুর খাবারও। কিন্তু চন্ডীগড়ের পরিস্থিতি অন্যরকম। রাজ্যের মালোয়া জেলার গোয়ালাদের দাবি, লক ডাউনের জেরে অস্বাভাবিক হারে দাম বেড়েছে গবাদি পশুর খাবারের। ফলে খাবার জুটছে না তাঁদের গরুগুলির।
গোটা দেশ জুড়ে লক ডাউন জারি হয়েছে বলেই সমস্যার তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মালোয়ার গোয়ালারা জানিয়েছে, মোহালি থেকে আমদানি করা হয় পশুর খাবার। কিন্তু লক ডাউনের কারণে আসছে না খাবার। দামও বেড়েছে। কুইন্টাল পিছু আগে যেখানে দাম ছিল ৫৫০ টাকা, তা বেড়ে হয়েছে ৮৭৫ টাকা। মালোয়ার পেশায় গোয়ালা সুনীল কুমার বলেন, 'পাশেই একটা সরকারি খোঁয়াড় আছে। সেখানে গবাদি পশুর খাবার নিয়মিত সরবরাহ করা হচ্ছে। চন্ডীগড় সরকার ওই খোঁয়াড়ের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের আর্জি, দয়া করে এই সমস্যার সমাধান করুন। গত চারদিন ধরে আমাদের গরুগুলি না খেয়ে রয়েছে।'
এই সমস্যা নিয়ে চন্ডীগড় গোয়ালা অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি বলেন, 'বুধবার আমরা আমাদের সংগঠনের তিন জন সদস্যকে নিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে মালোয়া থানায় গিয়েছিলাম। গবাদি পশুর খাবারের মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগই করেছিলাম আমরা। কিন্তু সাহায্যের পরিবর্তে পুলিশের তরফে আমাদের শাসানো হয়েছে। এমনকী, আমাদের অভিযোগপত্রটিও ছিড়ে ফেলেছে।' কেন্দ্র সরকার জরুরি পরিষেবার মধ্যে গবাদি পশুর খাদ্যও রেখেছে। লক ডাউনের এই ২১ দিন সেক্ষেত্রেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। যদিও শেষমেশ মালোয়া থানার ডিএসপি পলক গোয়েল আশ্বস্ত করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের।
মালোয়ার গোয়ালা পাড়ায় প্রায় ৯০টির মতো পরিবার রয়েছে। গরুর দুধ বিক্রি করেই তাঁদের সংসার চলে। প্রতিটি বাড়িতে গড়ে কমপক্ষে চারটি গরু রয়েছে। লক ডাউনের এই পরিস্থিতিতে সঙ্কটে দিনযাপন করছে মালোয়ার ৯০ পরিবার।