দেখামাত্র গুলির নির্দেশ! মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে মমতা

দেখামাত্র গুলির নির্দেশ! মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে মমতা

ইম্ফল: মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিভুক্তদের তালিকায় আনা যায় কি না তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের বিরোধিতা শুরু হয় রাজ্যে। ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন মণিপুর’ (এটিএসইউএম) ‘আদিবাসী সংহতি পদযাত্রা’র ডাক দেয়। এরপর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়া শুরু হয় রাজ্যে। হিংসাত্মক ঘটনা ঘটতে থাকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রথমে জারি হয় কারফিউ, তারপর নামানো হয় সেনা। কিন্তু মণিপুরের অবস্থা ঠিক হয়নি। এবার সেখানে ‘শুট অ্যাট সাইট’ অর্ডার দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ দেখা মাত্রই গুলি। তাই স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য আরও বেড়েছে রাজ্য নিয়ে। 

মণিপুর হাইকোর্টের নির্দেশকে কেন্দ্র করে এখন উত্তেজক অবস্থা রাজ্যে। এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই আর্জি জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। কেন্দ্রীয় সরকার যাতে পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে আনার সব চেষ্টা করে সেই আর্জি জানান হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লিখেছেন, ”মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আমি গভীর ভাবে উদ্বিগ্ন। এটা রাজনীতি করার সময় নয়। রাজনীতি এবং নির্বাচন অপেক্ষা করতে পারে, কিন্তু এখন সর্ব প্রথম মণিপুরকে রক্ষা করতে হবে।” তাঁর আরও বক্তব্য, ”প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মণিপুরকে দেখার আর্জি জানাচ্ছি। শান্তি ফেরানোর আহ্বান করছি। এমন পরিস্থিতি হতে থাকলে আগামী কাল মানুষও অবশিষ্ট থাকবে না।” 

এই মুহূর্তে রাজ্যের এমন অবস্থা যে সেনা নামিয়েও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। তাই রাজ্যপাল সমস্ত জেলাশাসক, সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটদের চূড়ান্ত পরিস্থিতিতে দেখামাত্র গুলি চালানোর সরকারি নির্দেশে সিলমোহর দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মণিপুরে প্রায় ৫১ শতাংশ মানুষ মেইতেই সম্প্রদায়ের। তফসিলি জাতির তকমা না থাকায় সে রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার অনুমতি পায় না তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × four =