মোদী সরকারের নীতি প্রভাব ফেলছে কূটনৈতিক সম্পর্কে: শিবশঙ্কর মেনন

মোদী সরকারের নীতি প্রভাব ফেলছে কূটনৈতিক সম্পর্কে: শিবশঙ্কর মেনন

নয়াদিল্লি: দেশের সাধারন মানুষকে  ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধীরা। দেশ-বিদেশ থেকে শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ সহ সমস্ত বিচক্ষণ নাগরিককে ভুল প্রমাণ করতে কোমড় বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছেন শাসক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব থেকে সাধারণ নেতা-নেত্রী ও কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু এবার কাশ্মীর থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী ইস্যু, সমস্ত বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করলেন দেশের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন বিদেশ সচিব শিবশঙ্কর মেনন।

সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রসঙ্গে বিজেপি সুপ্রিমো তথা মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেন ‘‘এককথায়, গত কয়েক মাসে পাকিস্তানের সঙ্গে নিজেদের এক আসনে বসিয়ে ফেলেছি আমরা। মনে রাখবেন, ওরা কিন্তু অসহিষ্ণু দেশ।’’ পাশাপাশি তিনি আরো বলেন ‘‘জম্মু-কাশ্মীর-সহ একাধিক ইস্যুতে কূটনৈতিক ভাবে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে ভারত।”

শুক্রবার দিল্লিতে একটি বিশেষ আলোচনাসভায় যোগ দিয়ে মেনন বলেন বিরোধিতা শুধুমাত্র আর দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, আন্তর্জাতিক মহলেও এনিয়ে এখন প্রশ্ন আর সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করেছে। বিগত কয়েক মাসে ভারত সম্পর্কে সকলের ধারণাই পাল্টে গেছে। এমনকি বন্ধু দেশগুলিও নিজেদের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেছেন, “ওদের নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে দিন”। মেনন বলেন ভারতের বন্ধু দেশগুলির মনোভাব যদি এমন হয়, তাহলে শত্রুরা কী ভাবছেন ভাবুন। এই পরিস্থিতির জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী।’’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করছেন, কাশ্মীর থেকে নাগরিকত্ব ইস্যু প্রতিটি বিষয়ে বিদেশ থেকেও সমর্থন পাচ্ছেন। অথচ সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিবাদ প্রতিবাদ বিক্ষোভের মধ্যেই গত মাসে ভারতের দূত হিসাবে মার্কিন কংগ্রেসের বিদেশ বিষয়ক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে যোগ দেননি বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কারণ জম্মু-কাশ্মীরে মোদী সরকারের পদক্ষেপের প্রতিবাদে একটি প্রস্তাব এনেছিল মার্কিন কংগ্রেসে।

এবিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্য প্রমীলা জয়পাল তো সরাসরি বলেছিলেন, “কোনও রকম ভিন্ন মত মোদী সরকার পছন্দ করেন না তার জোরালো প্রমাণ এটাই।” অজুহাত দেখিয়ে আসল কারণ অস্বীকার করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এদিন সেই প্রশ্নও তুলেছেন প্রাক্তন বিদেশ সচিব। তিনি বলেন, ‘‘এই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সম্পর্কে ভালমতই অবগত আমরা। তাই মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক এড়িয়ে যেতে হয়েছে বিদেশমন্ত্রীকে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *