মুম্বাই: পরের প্রজন্মকে সুযোগ দেওয়া উচিত। তাই এবারের লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন না শরদ পাওয়ার। নির্বাচনের রাজনীতি থেকে তিনি অবসর নিচ্ছেন। সোমবার এই খবরে দেশ জুড়ে আলোড়ণ শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে কলকাতার ব্রিগেডে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী ফেডারল ফ্রন্ট গড়ে তোলার ডাক দিয়েছিলেন। তারপরে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষনার পরের দিন তাঁর এই সিধান্তে হতবাক অনেকেই। পশ্চিম মহারাষ্ট্রের মাধা লোকসভা কেন্দ্র থেকে শরদ পাওয়ারের ভোটে দাঁড়ানোর কথা ছিল। এমন এক বর্ণময় ব্যক্তিত্ব যদি রাজনীতি থেকে অবসর নেন, তাহলে মহারাষ্ট্রের সংসদীয় রাজনীতি অনেকাংশে বিবর্ণ হয়ে যাবে বলে পর্যবেক্ষকদের ধারণা।
এণসিপি দলের প্রবক্তা ছিলেন তিনি। তাঁর দলের নির্বাচনি প্রতিক ছিল ‘ঘড়ি’। সোমবার পাওয়ার এনসিপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। তারপরেই নির্বাচন থেকে অবসরের কথা ঘোষনা করেন। মহারাষ্ট্রে পাওয়ার হলেন সবচেয়ে বড় মাপের রাজনৈতিক নেতা। তাঁর নামের সঙ্গে বারামতী কেন্দ্রটি সমার্থক। তাঁর বাড়ি ইন্দাপুরে। যা বারামতী কেন্দ্রের অন্তর্গত। পওয়ার দীর্ঘকাল যাবৎ বারামতী লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসছেন। প্রথমে কংগ্রেস, পরে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস, যে দলের হয়েই দাঁড়ান, বারামতী সর্বদা আস্থা রেখছে তাঁর ওপরে। শুধু বারামতী নয়, রাজ্যের ৪৮ টি লোকসভা কেন্দ্রে স্টার ক্যাম্পেনার ছিলেন শরদ।
বলা হত, মহারাষ্ট্রের প্রতিটি তালুক তাঁর নখদর্পণে। নিজের বারামতী কেন্দ্র নিয়ে তিনি এতই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, সেখানে প্রচারে যেতেন সবার শেষে। নতুন প্রজন্মকে সু্যোগ করে দিতেই তাঁর এই সিধান্ত বলে তিনি জানিয়েছেন। শুধু রাজনীতি ন্য, ভারতীয় ক্রিকেটের প্রশাসক হিসাবেও তিনি দৃষ্টান্ত রেখেছেন। অবসরের কথা ঘোষনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাফায়েল নিয়ে তদন্তের জন্য যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করার দাবি তুলেছেন।