নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতিতে লাগাতার লকডাউনে ধুঁকছে দেশের অর্থনীতি। ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে মহামন্দার আভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ) সহ একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা।
কয়েক লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে রিভার্স রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর কথা ঘোষণা করলেন রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস৷ ৪ বেসিস পয়েন্ট থেকে কমে রিভার্স রেটো রেটের হার দাঁড়াল ৩.৭৫%। তবে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে৷
এদিন আরবিআই গভর্নর বলেন, করোনা সংক্রমণের জেরে দেশব্যাপী লকডাউন চলা সত্ত্বেও ৯১ শতাংশ এটিএম সক্রিয় রয়েছে৷ ইন্টারনেট এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রেও কোনও বিভ্রাট দেখা যায়নি৷ একাধিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও এটিএমগুলিতে নির্দিষ্ট সময়ে টাকা ভরা হয়েছে৷ এরজন্য দেশের ব্যাংকগুলি সাধুবাদ জানান তিনি৷ একইসঙ্গে চূড়ান্ত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও যাঁরা জরুরি পরিষেবা অব্যাহত রাখছেন, তাঁদের কুর্নিশ জানিয়েছেন শক্তিকান্ত দাস৷
সাংবাদিক বৈঠকে আরবিআই গভর্নর বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মানবিকতার স্বার্থে যা যা প্রয়োজন সেটাই করবে আরবিআই৷ রিভার্স রেপো রেট কমানোর পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ক্ষুদ্র শিল্পের জন্যে আপাতত ৫০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে৷ আবাসন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ৷ প্রয়োজনে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছেন আরবিআই গভর্নর৷ পাশাপাশি ক্ষুদ্র আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যে ৫০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজও ঘোষণা করলেন তিনি। তবে এলসিআর প্রয়োজনীয়তা যে ১০০% থেকে হ্রাস পেয়ে ৮০% এ নেমে এসেছে সেকথাও উল্লেখ করেছেন আরবিআই গভর্নর।
তিনি জানিয়েছেন, ২০২০ সালে দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হার ১.৯ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির সম্ভাব্য হার ৭.৪ শতাংশ। তবে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের পরিস্থিতি অন্য দেশগুলির থেকে অনেকটাই ভাল এবং অন্যান্যদের তুলনায় বৃদ্ধির হারও বেশি বলে জানিয়েছেন শক্তিকান্ত দাস৷ তিনি বলেন, দেশের ব্যাংকগুলোতে নগদের জোগান বাড়ানো হয়েছে। জিডিপির ৩.২ শতাংশ নগদের জোগান দেওয়া হয়েছে।