কলকাতা: “আমাদের শুনুন” – সারা দেশের কাছে বিপন্ন কাশ্মীরি ছাত্র-ছাত্রীদের কণ্ঠস্বর পৌঁছে দিতে চায় এসএফআই। জম্মু ও কাশ্মীরে আর্টিকেল ৩৭০ এবং ৩৬-এ নিস্ক্রিয়করণের পর বাসিন্দাদের গৃহবন্দী দশা অব্যাহত। কিন্তু, তার মধ্যেই কিছু সরকার স্কুল, দোকানপাট খোলার নির্দেশ দিয়েছে। পোস্ট-পেইড ফোন যোগাযোগ চালু হয়েছে। মনে রাখা প্রয়োজন, দেশের মধ্যে কতিপয় অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি যেখানে প্রি-পেইড এর থেকে পোস্ট পেইড যোগাযোগ ব্যবহারকারির সংখ্যা বেশি।
কিন্তু বন্দীদশায় কাশ্মীরের মানুষ যেমন মুক্তির পথ খুঁজেছে, অন্য দিকে, সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কাশ্মীরিদের অবস্থাও বেহাল হয়েছে। কারণ, নিজের বাড়িতে আপনজনের সঙ্গে কথা বলতে পারেনি তাঁরা। মা-ভাই-স্ত্রী-পুত্র-পরিবারের সঙ্গে দিনের পর দিন কথা বলতে না পেরে তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।
আরও খারাপ অবস্থা কাশ্মীরি ছাত্র-ছাত্রীদের। উচ্চ শিক্ষার জন্য সারা ভারতে তাঁরা ছড়িয়ে রয়েছে। সেখানে থেকে তাঁরা নিজের বাড়িতে যোগাযোগ করতে পারেনি। কিছু কাশ্মীরি ছাত্রছাত্রীরা উগ্র-মেকি জাতীয়তাবাদের স্বীকার হয়েছে। সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা আক্রমণের মুখোমুখী হয়েছে। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপের বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তারপরই সারা দেশে বহু কাশ্মীরি ছাত্রছাত্রীদের নিগ্রহের মুখে পড়তে হয়েছে। এই সব কিছুর বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়িয়েছে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন – এসএফআই।
দিল্লিতে এসএফআই এর সদর দফতরে চলছে “Hear Us” বা আমাদের শুনুন কার্যক্রম। কাশ্মীরি ছাত্রদের মুখেই তাঁদের কথা শুনে নিন। শুনতে ওয়াবেন হয়ত, কেউ সেখানে বলেছে, জন্মের পর এটিই তাঁদের জীবনে সব থেকে সংকটের সময়। এসএফআই এর কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির তরফে প্রেস বার্তায় বলা হয়েছে, কাশ্মীরি ছাত্র ছাত্রীদের পাশে সংগঠন রয়েছে। শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে। কাশ্মীরি ছাত্ররা এদেশের নাগরিক। তাদেরও নাগরিক স্বাধীনতা রয়েছে। তাঁদের কন্ঠ রুদ্ধ করা যাবে না। এসএফআই তাঁদের সঙ্গে আছে।