নয়াদিল্লি: যৌন হেনস্থা সংক্রান্ত মামলায় ফের তাৎপর্যপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের৷ শুক্রবার একটি মামলার রায় ঘোষণার সময় সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ‘‘যৌন নির্যাতনের মামলাগুলিকে আমরা কার্পেটের নীচে ঢেকে রাখতে পারি না৷’’
আরও পড়ুন- ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা! ফের আতঙ্ক করোনার
প্রসঙ্গত, অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনেছিলেন এক মহিলা জুডিশিয়াল অফিসার৷ তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই মধ্যপ্রদেশের ওই অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজকে রাজ্যের হাইকোর্ট নির্দেশিত ‘অভ্যন্তরীণ বিভাগীয় তদন্তে’র সম্মুখীন হওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত৷ প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এদিন বলে, ‘‘আমরা যৌন হেনস্থার মামলা কার্পেটের নীচে চাপা রাখা যায় না৷’’ এই বেঞ্চে রয়েছে বিচারপতি এএস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মণ্যম৷
এদিন শুনানির সময় বেঞ্চ বলে, ‘‘সুক্ষ্ম বরফের উপর দিয়ে হাঁটতে গেলে আপনি যে কোনও সময় পড়ে যেতে পারেন৷ তদন্তে আপনার কাছে কোনও সুযোগ থাকলেও থাকতে পারে৷ তবে আপনি এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত৷ যৌন হেনস্থার অভিযোগগুলিকে আমরা কার্পেটের নীচে চাপা রাখতে পারি না৷’’ অবসরপ্রাপ্ত ওই জেলা জজের বিরুদ্ধে জুনিয়র জুডিশিয়াল অফিসারের আনা যৌন হেনস্থার অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয় মধ্যপ্রদেশে হাইকোর্ট৷ সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়৷
আরও পড়ুন- বিয়ে করা বউ কারো সম্পত্তি হতে পারে না, রায় দিল বম্বে হাইকোর্ট
শুক্রবার মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন প্রবীণ আইনজীবী রবীন্দ্র শ্রীবাস্তব৷ তিনি আদালতের সামনে অভিযোগকারী জুডিশিয়াল অফিসারকে পাঠানো জেলা জজের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজগুলি পড়ে শোনান৷ এই মেসেজের ভিত্তিতে তিনি জানান, একজন মহিলা অফিসারের সঙ্গে এহেন আচরণ যুক্তিসঙ্গত নয়৷ তাঁর সঙ্গে সহমত পোষণ করেন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ৷ বেঞ্চ জানায়, ‘‘একজন জুনিয়র অফিসারের সঙ্গে ফ্লার্ট করা কোনও বিচারকের পক্ষে গ্রহণযোগ্য আচরণ নয়।” এর পরেই অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজকে তদন্তে সম্মুখীন হওয়ার নির্দেশ দেন৷