নয়াদিল্লি: ১৫ জুন লাদাখের কাছে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সৈন্যদের অতর্কিত হামলায় শহিদ হন ১৯ জন জওয়ান এবং কর্নেল পদমর্যাদার এক আধিকারিক। লাদাখের প্যাংগং হ্রদের কাছে ভারত-চিন সীমান্তে বেশ কিছুদিন ধরেই চলছিল দুই পক্ষের গরমাগরমি। কূটনৈতিক এবং কম্যান্ডার পর্যায়ে আলোচনার পর দুই দেশের তরফেই অতিরিক্ত সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু চিন সেনার এক অংশ বিশ্বাসঘাতকতা করে প্রায় নিরস্ত্র ভারতীয় জওয়ানদের ওপর চড়াও হয়। জওয়ানদের হাতে অস্ত্র বলতে ছিল লোহার রড। আগ্নেয়াস্ত্র ছিল না। এই নিয়েই কেন্দ্র সরকারকে প্রবল কটাক্ষ করেছেন কং নেতা হুসেন দলওয়াই।
কেন্দ্রের দেওয়া হতাহতের তথ্যকে পাত্তা না দিয়ে হুসেন বলছেন, চিনা সেনা ভারতের মাটিতে ঢুকে ২০ জনকে মেরে ফেলল। অথচ চিন সেনার একজনও মরেনি, কারণ ভারতীয় জওয়ানদের হাতে ছিল শুধু লাঠি। কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন, ভারতীয় সেনা কি আরএসএস-এর শাখা? তাহলে আর সেনাদের কী প্রয়োজন, আরএসএসের কর্মীদেরই সীমান্ত রক্ষা করতে পাঠিয়ে দেওয়া হোক, বলছেন গালওয়াই। প্রসঙ্গত, গালওয়ান উপত্যকায় এই সংঘর্ষে ওদেশের হতাহতের যে পরিসংখ্যান কেন্দ্র দিয়েছে তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন রাহুল গান্ধীও।
১৯ জুন বিকেল পাঁচটায় এই সীমান্তে হামলা সংক্রান্ত সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, তৃণমূল সুপ্রিমো তথা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, বামনেতা সীতারাম ইয়েচুরি এবং ডি রাজা, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার এবং ডিএমকে সভাপতি এমকে স্ট্যালিনকে। উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিজেপি সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা। এই সভা আরও অনেক আগে করা উচিত ছিল বলে মত কংগ্রেস নেতা ডালওয়াইয়ের। তবে দেরি হলেও হচ্ছে সেটা ইতিবাচক বলেও জানিয়েছেন তিনি।