নয়াদিল্লি: দেশের বিশেষ বিবাহ আইনে সমলিঙ্গ বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি এই বৈবাহিক সম্পর্ক দেশের আইনা ব্যবস্থা, সমাজ এবং মূল্যবোধের পরিপন্থী। সেক্ষেত্রে অবৈধ সম্পর্ক হিসেবে সমলিঙ্গ দাম্পত্যে অনুমতি দেওয়া যাবেনা। সোমবার সমলিঙ্গ বিবাহে ছাড়পত্র সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্টে এমনটাই জানানো হল কেন্দ্রর তরফে।
সলিসিটার জেনারেল (এসজি) তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতি ডিএন প্যাটেল এবং বিচারপতি প্রীতিক জালানকে নিয়ে গঠিত একটি বেঞ্চে এদিন সমলিঙ্গ বিবাহ সংক্রান্ত একটি আবেদনের শুনানি ছিল। যেখানে হিন্দু বিবাহ আইন (এইচএমএ) এবং বিশেষ বিবাহের অধীনে সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার আবেদন জানান হয়েছিল।
এদিন শুনানি চলাকালীন আইনজীবী তুষার মেহতা বলেন, এই জাতীয় বিবাহের রেজিস্ট্রেশনকে স্বীকৃতি প্রদান বা অনুমতি দেওয়ার আবেদন দুটি কারণে “জায়েজ নয়” বা বৈধ নয় – প্রথমত, আবেদন অনুসারে আদালতকে আইন প্রণয়ন করতে বলা হচ্ছে এবং দ্বিতীয়ত, এবিষয়ে কোনও ছাড়পত্র দেওয়া হলে তা একাধিক বিধিবদ্ধ বিধানের পরিপন্থী হবে।
তিনি আরও বলেন এই ছাড়পত্র দিতে হলে আদালতকে একাধিক আইন অমান্য করতে হবে।
মেহতা বলেন, যে হিন্দু বিবাহ আইনের অধীনে বিবাহ বা নিষিদ্ধ সম্পর্কের নিয়ন্ত্রণকারী বিভিন্ন শর্তে স্বামী-স্ত্রীর কথা বলা হয় সেখানে সম-লিঙ্গের দম্পতির বিষয়ে বলার জন্য কাকে এই ভূমিকায় নিযুক্ত করা হবে?
বেঞ্চের পর্যবেক্ষণে বিশ্বজুড়ে এই এই ধরণের বিষয়গুলিতে পরিবর্তন আসছে, কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে তা হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।
তবে, তাৎক্ষণিকভাবে একটি আবেদনের প্রয়োজন হলে সেই প্রসঙ্গে বেঞ্চ জানিয়েছে যে, এই ধরণের দম্পতিদের কোনো সমস্যা হলে, যেহেতু তাঁরা সুশিক্ষিত তাই নিজেরাই আদালতে যেতে পারেন। তাঁরা কেন এই ধরণের আবেদনকে গুরুত্ব দিতে যাবেন?
এক্ষেত্রে যারা সমস্যায় পড়েন তাঁরা প্রতিহিংসার ভয়ে নিজেরা সরাসরি সামনে আসতে চান না। তাই আবেদন জানানোর প্রক্রিয়াটিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন বলেও উল্লেখ করেছে বেঞ্চ। নির্দেশ অনুযায়ী তালিকা পাওয়া গেলে এরপর এই আবেদনের পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর।
প্রসঙ্গত, সমলিঙ্গ বিবাহ রেজিস্ট্রেশনে সম্মতি চেয়ে করা ওই আবেদনে এও দাবি করা হয়েছে যে, সুপ্রিম কোর্ট সমকামী আইনকে সম্মত বৈধতা দিলেও সমলিঙ্গ দাম্পত্য এখনও সম্ভব নয়।