রাউরকেলা: দীর্ঘ দিন ধরে স্বপ্নটাকে সযত্নে আগলে রেখেছিলেন তিনি৷ সেই স্বপ্ন আজ সত্যি৷ কালেক্টরের চেয়ার বসা শুধু এখন সময়ের অপেক্ষা৷
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি)-এর সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফল৷ আর সেখানেই বাজিমাত করেছেন ছান্দ কলোনির বাসিন্দা বছর ৩০ এর সঞ্জিতা মহাপাত্র৷ তাঁর অল ইন্ডিয়া ব়্যাঙ্ক ১০৷ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র এবং রাউরকেলা স্টিল প্ল্যান্টের প্রাক্তন অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সঞ্জিতা এখন মুম্বইবাসী৷ তাঁর স্বামী বিশ্বরঞ্জন মুন্ডারি আরবিআই-এর ম্যানেজার৷ রাউলকেলা থেকেই স্কুলের পাঠ শেষ করেন সঞ্জিতা৷ ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর ২০১৩ সালে রাউরকেলা স্টিল প্ল্যান্টে চাকরিতে যোগ দেন তিনি৷ কিন্তু ২০১৮ সালে বিশ্বরঞ্জনকে বিয়ের পর চাকরি ছেড়ে দেন৷ কিন্তু আইএএস হওয়ার স্বপ্নটা হারিয়ে যেতে দেননি৷
সঞ্জিতা বলেন, ‘‘ছোটবেলা থেকেই আইএএস হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম আমি৷ কোনও একদিন ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে যোগ দেবই, সে বিষয়ে আশাবাদী ছিলাম৷ কালেক্টর হওয়াই আমার স্বপ্ন৷’’ তবে পরীক্ষার জন্য কখনই ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়েননি তিনি৷ সঞ্জিতা বলেন, ‘‘পড়ার জন্য একটা সাপ্তাহিক শিডিউল তৈরি করে নিয়েছিলাম আমি৷ একটু একটু করে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে গিয়েছি৷ সেলফ স্টাডিই আমার সাফল্যের চাবিকাঠি৷’’
সিভিল সার্ভিসের জন্য নিজেই পড়েছেন তিনি৷ তবে অপশনাল বিষয় সোসিওলজির জন্য তিন মাসের একটি কোর্স করেছিলেন সঞ্জিতা৷ চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর যেখানেই তাঁকে পোস্টিং দেওয়া হোক না কেন, সেখানকার মানুষের উন্নতি করাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য৷ সঞ্জিতার বোন সরিতা বেঙ্গালুরুতে ‘ভেল’-এ কর্মরত৷ তাঁর বাবা শক্তিপদ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী৷ লকডাউনের জেরে ছোট মেয়ের কাছই আটকে পড়েছেন শক্তিপদবাবু৷ রাউরকেলায় একাই রয়েছে সঞ্জিতার মা৷
আরও পড়ুন- বাইজু’সের কাছে ৩০০ মিলিয়ন ডলারে নিজের স্টার্টআপ বেচলেন এই যোগা শিক্ষক
আরও পড়ন- কী ভাবে ভাবতে হবে, সেটাই আমাদের শেখাবে নয়া শিক্ষানীতি: মোদী
আরও পড়ুন- রাজ্য জয়েন্টে দিল্লি বোর্ডের দাপট, পিছিয়ে বাংলার পড়ুয়ারা |