নয়াদিল্লি: করোনা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বেশ খানিকটা এগিয়েছে ভারতবর্ষ। আর তারই প্রতিফলন স্বরূপ দেশজুড়ে শনিবার শুরু হয়ে গেল করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার প্রক্রিয়া। গত ১৬ জানুয়ারি করোনা টিকাকরণের প্রথম দফায় যাদের টিকাপ্রদান করা হয়েছিল, তাদের প্রথম ডোজ দেওয়ার ২৮ দিন পর শনিবার টিকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
করোনা অতিমারীর ব্যাপক সংক্রমণ রোধ করতে ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে জরুরি ভিত্তিতে টিকাকরণের জন্য ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড নামক দুটি টিকাকে অনুমোদন দেওয়া হয় কেন্দ্র তরফে। এক্ষেত্রে কোনো করোনা যোদ্ধাকে প্রথম ডোজে যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল, সেই নির্দিষ্ট ভ্যাকসিনই দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে দেওয়া হবে৷ অর্থাৎ প্রথম দফায় কাউকে কোভ্যাকসিন দেওয়া হলে দ্বিতীয় দফাতেও তাকে সেই কোভ্যাকসিনই প্রয়োগ করা হবে, এমনটাই জানিয়েছে টিকা নির্মাণকারী সংস্থা।
শুক্রবার একটি বৈঠকে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কেন্দ্রের উচ্চ পর্যায়ের কমিটির অন্যতম সদস্য তথা নয়াদিল্লি এইমসের ডিরেক্টর ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, করোনার এই দুটি ভ্যাকসিনই ৮ মাস কাজ করবে। এখনও সবটা গবেষণার পর্যায়ে থাকলেও করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার পর শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি হবে, তা মানুষের শরীরে প্রায় ৮ মাস সক্রিয় থাকবে। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, শনিবার দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হচ্ছে; এবং বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক যথেষ্ট কৌতুহলী এবং উদ্যোগী; কারণ, এই দ্বিতীয় ডোজ না নিলে টিকার কোর্স সম্পূর্ণ হয় না। তাই গত ১৬ জানুয়ারি প্রথমদিনে যে ২ লক্ষ ৭ হাজার ২২৯ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছিল, তাদের প্রত্যেককে টিকাকরণ কেন্দ্রে আনতে হবে এবং প্রত্যেকের রেকর্ড দেখে দেখে সেইমতো টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করতে হবে, যা সরকারের কাছে রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং একটি প্রক্রিয়া।