ব্যবহার করা পিপিই কিট থেকে জৈব জ্বালানি তৈরি করছে দেরাদুন

ব্যবহৃত পিপিই কোথায় ফেলা হবে সেই নিয়ে মানুষের মনে একটা দ্বন্দ্ব বা আশঙ্কা রয়ে গিয়েছে। মাস দুয়েক আগে ব্যবহৃত পিপিইতে কাঠ জোগাড় করতে দেখা যায় দুই বালককে। এরপর ব্যবহৃত পিপিই নিয়ে আতঙ্ক থেকেই যায়। সেই আতঙ্ককে দূরে সরিয়ে রেখে দেরাদুনে ব্যবহৃত পিপিই দিয়ে জৈব জ্বালানী তৈরি করে দেখাল দেরাদুনের একদল বিজ্ঞানী। ব্যবহৃত পিপিই ফেলে না দিয়ে বায়োফুয়েলে রূপান্তরিত করা যেতে পারে। এমনই একটা রিপোর্ট প্রকাশ করলেন একদল ভারতীয় বিজ্ঞানী। 

 

দেরাদুন:  ব্যবহৃত পিপিই কোথায় ফেলা হবে সেই নিয়ে মানুষের মনে একটা দ্বন্দ্ব বা আশঙ্কা রয়ে গিয়েছে। মাস দুয়েক আগে ব্যবহৃত পিপিইতে কাঠ জোগাড় করতে দেখা যায় দুই বালককে। এরপর ব্যবহৃত পিপিই নিয়ে আতঙ্ক থেকে গিয়েছিল৷ সেই আতঙ্ককে দূরে সরিয়ে রেখে দেরাদুনে ব্যবহৃত পিপিই দিয়ে জৈব জ্বালানি তৈরি করে দেখাল দেরাদুনের একদল বিজ্ঞানী। ব্যবহৃত পিপিই ফেলে না দিয়ে বায়োফুয়েলে রূপান্তরিত করা যেতে পারে। এমনই দাবি করেছেন একদল ভারতীয় বিজ্ঞানী। 

আরও পড়ুন-তখনও শরীর ছিল হলুদ! অ্যম্বুলেন্সেও কি জীবিত ছিলেন সুশান্ত? বিস্ফোরক চালক

বায়োফুয়েলস নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত রিপোর্টে  জানানো হয়েছে, উচ্চ তাপমাত্রায় রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কয়েক কোটি পিপিই-র প্লাস্টিক থেকে জৈব জ্বালানিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব। স্বপ্না জৈন নামের এক বিজ্ঞানী দাবি করেছেন, এই জৈব জ্বালানি পরিবেশের ওপর কোনও ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলবে না। বরং এটি মানবজাতির জন্য নতুন একটি শক্তির উৎসের সন্ধান দেবে। ফলে আমাদের শক্তির চাহিদা কিছুটা হলেও মিটবে। 

আরও পড়ুন- ছারখার ব্যক্তি জীবন, আমাকে মুক্তি দিন! সুপ্রিম কোর্টে আর্জি রিয়ার

গবেষকদের মতে, যখন প্ল্যাস্টিক বা প্লাস্টিক জাতীয় কিছু ফেলে দেওয়া হয় এবং সেগুলি মাটি বা জলের সঙ্গে মেশে। তখন প্ল্যাস্টিকের কিছু অংশ পরিবেশ থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল হতে পারে না৷ পরিবেশ থেকে সম্পূর্ণ নির্মূল হতে কয়েক দশক লাগে৷ সেক্ষেত্রে ব্যবহৃত পিপিই ফেলে দিলেও একই অবস্থা হবে। তাই পরিবেশ দূষণ না করে ব্যবহৃত পিপিই থেকে পাইরোলাইসিস পদ্ধতিতে অনায়াসে জৈব গ্যাস তৈরি করা যেতে পারে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − ten =