Science ministry said not possible to get vaccine before 2021
নয়াদিল্লি: কিছুদিন আগেই আইসিএমআরের তরফে জানানো হয়েছিল, করোবার ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে ভারত। অগস্টেই বাজারে পাওয়া যেতে পারে করোনার ভ্যাকসিন। লালকেল্লাতে স্বাধীনতা দিবসের দিন ভাষণ দেওয়ার সময় করোনা ভ্যাকসিনের কথা ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই আশায় কার্যত জল ঢেলে দিয়ে উল্টো সুরে কথা বলল বিজ্ঞান মন্ত্রক। রবিবার বিজ্ঞান মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আগামী বছরের আগে খোলা বাজারে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।
সরকারি বিবৃতিতে বিজ্ঞান মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ছটি ভারতীয় সংস্থা করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। কোভ্যাক্সিন সহ মোট ১১ টি ভ্যাকসিন মানবদেহে ট্রায়ালের অপেক্ষায় রয়েছে। এগুলো মানবদেহে পরীক্ষা করার পরেই খোলা বাজারে আসবে। তার আগে সব দিক বিচার করা হবে বলেও কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল।
কিন্তু হঠাৎ করে কেন্দ্রীয় সরকারের এই ভোল বদল কেন। বিরোধীরা মনে করছেন চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার এি বিবৃতি দিয়েছে। এখনও মানবদেহে ট্রায়াল শুরু হয়নি কোভ্যাক্সিন। তার আগে কী করে ভ্যাকসিন পাওয়ার দিন স্থির হয় সেই নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তুলতে থাকেন। সমালোচনা করেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানান, তাড়াহুড়ো করে ভ্যাকসিন উপযুক্ত পরীক্ষা ছাড়া বাজারে বের করলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই আগে সমস্ত পরীক্ষা করেই হিউম্যান ট্রায়াল করা উচিত। হিউম্যান ট্রায়ালে সমস্ত দিক দেখেই কোনও ভ্যাসিনের মান্যতা দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রথম দুটি পর্যায়ে ভ্যাক্সিনটি কতটা নিরাপদ তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। তৃতীয় পর্যায়ে ভ্যাক্সিনের কার্যক্ষমতা পর্যালোচনা করা হয়। এই প্রতিটি পর্যায় প্রমাণ করতে দু থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে। আবার কখনও তার চেয়ে বেশি। সব থেকে বেশি সময় লাগে তৃতীয় পর্যায়ে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে আগামী বছরের আগে খোলা বাজারে করোনার কোনও ভ্যাক্সিন যে মিলবে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত সকলেই।
তবে সাততাড়াতাড়ি করোনার ভ্যাকসিন বাজারে আনার ঘোষণায় রাজনীতিবিদরা ভোটের গন্ধ পাচ্ছেন। বিহারের ভোট নভেম্বরে। তার দিকে বিজেপির দিকে হাওয়া টানার চেষ্টা করতেই ১৫ অগস্ট ভ্যাকসিন বাজারে আনার কথা ঘোষণা করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু চাপে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার ঢোঁক গিলতে বাধ্য হয়েছেন।