ramlala
অযোধ্যা: আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রামনবমী৷ ফি বছরের তুলনায় এবারের রামনবমী আক্ষরিক অর্থেই ভিন্ন। হবে নাই বা কেন? ৫০০ বছরের লড়াই শেষে অযোধ্যায় প্রিতষ্ঠিত হয়েছে রামমন্দির৷ ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে রামমন্দিরের দ্বারোগঘাটন হয়৷ রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তার পর এটাই প্রথম রামনবমী৷ রামলালার দর্শনে অযোধ্যায় নেমেছে ভক্তের ঢল। ইতিমধ্যেই রামলালার দিব্য অভিষেক সম্পন্ন হয়েছে৷ সূর্যের আলো এসে তিলক এঁকে দেয় রামলালার কপালে৷ সূর্যালোকের এক সূক্ষ রেখা এসে ভরিয়ে দেয় প্রভু শ্রী রামের ললাট৷ রামনবমীতেই প্রথম ‘সূর্য অভিষেক’ বা ‘সূর্য তিলক’ সম্পন্ন হল৷
কিন্তু কী ভাবে আঁকা হল সূর্য তিলক?
এর নেপথ্যে রয়েছে বিজ্ঞান৷ প্রতি বছর রামনবমীর দুপুরে সূর্যের আলো এসে পড়বে রামলালার কপালে এসে পড়বে। রুরকির সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা সূর্য তিলকের জন্য বিশেষ এক ধরনের লেন্স ও আয়না তৈরি করেছেন, যা জুড়ে দেওয়া হয়েছে মন্দিরের কাঠামোর সঙ্গে৷ সূর্যরশ্মির মন্দিরর গায়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই আয়না ও লেন্সে প্রতিফলিত হয়ে সোজা গর্ভগৃহে ঢুকে রামলালার মূর্তির কপালে গিয়ে পড়বে। মন্দিরের উপরের তলায় বসানো আয়নায় সূর্যের আলো পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ঠিক ৯০ ডিগ্রিতে একটি পাইপের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়ে নলের অন্য প্রান্তে রাখা দ্বিতীয় আয়নায় পড়বে। এই আয়নার সাহায্যে সূর্যের রশ্মিকে আবার প্রতিফলিত করানো হয়। এর পর এটি পিতলের নলের সাহায্যে ৯০ ডিগ্রিতে প্রতিফলিত হয়ে রামলালার ললাটে সূর্য তিলক এঁকে দেয়৷ এই সূর্য তিলকের মাপ ৭৫ মিমি।