নয়াদিল্লি: সতর্ক করেছিল আরবিআই৷ শুধু সতর্কতায় নয়৷ নোট পাঠিয়ে আশঙ্কার কথাও জানানো হয়৷ আরবিআইয়ের সেই আশঙ্কা ছিল, নির্বাচনী বন্ডে স্বচ্ছতার নামে ভোটের আগে তা চালু করলে হিতে বিপরীত হবে৷ কিন্তু, আশঙ্কা উড়িয়ে মোদি সরকার কীভাবে নির্বাচনী বন্ড ছাড়াল বাজারে? এ ব্যাপারে তদন্ত চালিয়েছিল সর্বভারতীয় একটি নিউজ পোর্টাল৷ এবার সেই পোর্টাল ও তথ্য জানার অধিকারকে হাতিয়ার করে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা কংগ্রেসের৷
লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী, গুলাম নবি আজাদ ও আনন্দ শর্মাকে পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন৷ সাংবাদিক বৈঠক থেকে সরাসরি কংগ্রেসের অভিযোগ, তথ্যের অধিকার আইনে প্রধানমন্ত্রী নিজে নিয়ম ভেঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচনী বন্ড কেনার বাড়তি সুযোগ দিয়েছেন৷ এই বন্ড বড় কেলেঙ্কারি৷ কেননা, কে ওই অর্থ দিচ্ছে, টাকার উৎস কী? ঊর্ধ্বসীমা কত? তাও অজানা৷ ফলে এভাবে ৬ হাজার ১২৮ কোটি টাকার ৯৫ শতাংশই বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে বলে মোদিকে নিশানা করে অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস৷
সম্প্রতি ওই নিউজ পোর্টাল জানিয়েছে, ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ আরবিআইকে চিঠি দিয়ে নির্বাচনী বন্ডের জন্য সম্মতি দেওয়ার অনুরোধ করেন অর্থমন্ত্রী যুগ্মসচিব৷ ৩০ জানুয়ারি ২০১৭ নির্বাচনী বন্ডে কালো টাকার ঢুকতে পারে, এই আশঙ্কায় তীব্র আপত্তি তোলে আরবিআই৷ পরের তিন থেকে চার ঘণ্টায় বাজেটে প্রস্তাব রাখা হয় নির্বাচনী বন্ডের৷ কীভাবে সেই কাজ হবে তা জানিয়ে তৎকালীন আর্থিক পরিষেবা সচিবকে নোট পাঠান রাজস্ব সচিব৷ আরবিআইয়ের মতামত আসতে দেরি হয়েছে এই অবস্থায় আগের সিদ্ধান্ত মতো নির্বাচনী বন্ড ছাড়ার ঘোষণা করে দেওয়া হয়৷ আর তাতেই ৯৫ শতাংশ তহবিল জমা পড়ে বিজেপির ঘরে৷
চলতি বছর ২ মে কেন্দ্র ২০ নং গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ইলেক্টোরাল বন্ড সিম, ২০১৮’র বিজ্ঞপ্তি জারি করে৷ জনপ্রতিনিধি আইনের ২৯এ ধারায় রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে ১ শতাংশের বেশি ভোট পেলেই এই ইলেক্টোরাল বন্ড কেনার ব্যবস্থা করা হয়৷ রাজ্যে কলকাতা মেইন ব্রাঞ্চ, সমৃদ্ধি ভবন থেকেও তা কেনার ব্যবস্থা করা হয়৷