নয়াদিল্লি: কলেজের ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষা নিয়ে জট যেন কাটছেই না৷ ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করতে হবে বলে নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন (ইউজিসি)৷ কিন্তু এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে জমা পড়েছে একাধিক পিটিশন৷ করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা বাতিলের আর্জি জানিয়েছেন ৩১ জন পড়ুয়া৷ এই আবেদনের ভিত্তিতেই ইউজিসি’র মতামত জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট৷ আগামী বুধবারের মধ্যে ইউজিসি-কে এই বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানানোর নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি অশোক ভূষণের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ৷
আরও পড়ুন- মাধ্যমিকের খাতা রিভিউ-স্ক্রুটিনির নিয়ম বদল পর্ষদের, রেজিস্ট্রেশনেও বড় বদল
ইউজিসি’র পক্ষ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতকে জানিয়েছেন, ৮১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২০৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যেই অনলাইন বা অফলাইনে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে৷ ৩৪৯টি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সামনে অফলাইন, অনলাইন বা এই দুই পদ্ধতি মিলিতভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে৷ এছাড়াও সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, একটি ঘরে ১০ জনের বেশি পরীক্ষার্থীকে বসার অনুমতি দেওয়া হবে না৷ ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হবে ফাইনালের পরীক্ষা৷
আরও পড়ুন- লাগবে না বোর্ড পরীক্ষার মার্কস, NIT ও CFTI ভর্তির মাপকাঠি শিথিল করল কেন্দ্র
অন্যদিকে, এক আবেদনকারীর আইনজীবী অলাখ অলোক শ্রীবাস্তব আদালাতকে বলেন, আজ ৫০ হাজার আক্রান্ত ধরা পড়েছে৷ কোভিড পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে৷ এই অবস্থায় আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ইউজিসি’র উচিত তাদের নির্দেশিকা স্থগিত রাখা৷ প্রসঙ্গত, সারা দেশের ৩১ জন ছাত্রছাত্রী ইউজিসি’র এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে৷ পরীক্ষা বাতিলের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা৷ এর মধ্যে রয়েছেন এক করোনা আক্রান্ত পড়ুয়াও৷
আরও পড়ুন- বর্ধিত স্কুল-ফি: কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের, নয়া নির্দেশিকা রাজ্যের
এদিন ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষা নিয়ে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ তিনি বলেন, ‘‘সবার আগে অবশ্যই পড়ুয়াদের স্বার্থ। আপনাদের উদ্বেগের বিষয়টি মাথায় রেখেই বলছি, ইউজিসি চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সোমবার সুপ্রিম কোর্ট, ৩০ জুলাই দিল্লি হাইকোর্ট ও ৩১ জুলাই বম্বে হাইকোর্টে মামলা। উপাচার্যদের ঢাল হিসেবে না দাঁড়িয়ে এদিকে দৃষ্টি দিন। উপাচার্যদের কাজকর্মের উপর নজর রাখা হচ্ছে।’’ রাজ্যপালের টুইটের পরই পাল্টা টুইট করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি লেখেন, ‘‘ধন্যবাদ মহামান্য রাজ্যপাল মহোদয়। পুরনো কাসুন্দি কেন ঘাঁটছেন? ইউজিসি তো নিজেই ৬ তারিখের বিবৃতি বাতিল করতে পারত। কোর্টের অপেক্ষা কেন? রাজ্যের সার্বিক কল্যাণে মন দিন। বাংলার ছাত্র সমাজের ভবিষ্যতকে ঢাল করবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর আহ্বানে ইউজিসি সাড়া দিক।’’