নয়াদিল্লি: তবলিঘি জামাতের বিদেশি সদস্যদের ভিসা বাতিল এবং ব্ল্যাকলিস্টের অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনা নিয়ে জল্পনা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। নিজেদের দেশে ফেরার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিল ৩৪ জন সদস্য। কিন্তু বৃহস্পতিবারের শুনানিতে সর্বোচ্চ আদালত সাফ জানিয়েছে যে, তারা এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না। জামাতের সদস্যরা নিজের নিজের দেশে ফিরতে পারবেন কি না, কেন্দ্রের নেওয়া সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে নাক গলাবে না আদালত, সুপ্রিম কোর্টের তরফে এমনটাই জানানো হয়েছে এদিন।
দিল্লির নিজামুদ্দিনে চলতি বছরের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত জামাতে অংশ নেওয়া বিদেশি তবলিঘি সদস্যদের ব্ল্যাকলিস্টের অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার। এমনকী, বাতিল করা হয়েছে তাঁদের ভিসাও। বিপাকে পড়া বিদেশিদের কথায়, 'অনুগ্রহ করে আমাদের যে যা নিজের দেশে ফিরে যেতে দিন। কোভিড ১৯ পরিস্থিতির আগেই আমরা এখানে এসেছিলাম। যদি যদি গুরুতর কিছু না করে থাকি, তাহলে আমাদের দেশে ফেরার বিষয়টি সরকার বিবেচনা করে দেখতে পারে।' আবেদনকারীরা আরও জানিয়েছেন, ব্ল্যাকলিস্ট করার অর্থ আমরা ভবিষ্যতে ভারতে ফিরতে পারব না। কিন্তু এখন তো আমরা নিজেদের দেশে ফিরতে পারি। দেশে ফেরার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তাঁরা। সেই মামলার সাম্প্রতিক শুনানিতেও কোনও সুরাহা পেলেন না আবেদনকারীরা। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী ১০ জুলাই। আইনগত সমস্যা না মিটলে দেশে ফিরতে পারবেন না তাঁরা।
তবে সরকারের তরফে তবলিঘি জামাতের বিদেশি সদস্যদের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন আবেদনকারীদের পক্ষের সিনিয়র আইনজীবী সি ইউ সিং। তিনি বলেছেন, 'ওই বিদেশি নাগরিকদের ব্ল্যাকলিস্ট করার বিষয়টি তাদের কাউকেই ব্যক্তিগতভাবে কোনও নোটিসের মাধ্যমে জানানো হয়নি। এমনকী, তাদের ভিসা বাতিলের কোনও নির্দেশও জারি হয়নি।' গত শুনানিতে বিচারপতি এএম খানউইলকর এই সংক্রান্ত তথ্যো চেয়ে পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রের কাছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্র সরকারের তরফে এদিন একটি এফিডেভিট জমা দেওয়া হয়েছে, যেখানে তবলিঘি জামাতের প্রত্যেক বিদেশি সদস্যদের নামে ভিসা বাতিল সংক্রান্ত আলাদা আলাদা অর্ডার ইস্যু করা রয়েছে।