নয়াদিল্লি: গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাবরি মামলার রায় ঘোষণা হয়। সেই ঐতিহাসিক রায়ে অভিযুক্ত ৩২ জনকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব। এই মামলার রায় দেওয়ার পরেই তাঁর নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন জমা পড়ে। সেই আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, নিরাপত্তা আর বাড়ানোর কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
স্পেশাল বিচারক হিসেবে বাবলি মসজিদ ধ্বংস মামলার কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদব, কারণ তার আগেই তিনি ডিস্ট্রিক্ট জাজ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ৩০ সেপ্টেম্বর লখনউয়ের বিশেষ আদালতে ঐতিহাসিক বাবরি মামলার রায় ঘোষণা করেন তিনি। যদিও রায় ঘোষণার পর সারাদেশে হইচই শুরু হয়ে যায়। কারণ অভিযুক্ত ৩২ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, লালকৃষ্ণ আডবাণি, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতী সহ উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপি নেতা বিনয় কাঠিয়ার প্রমুখ।
বাবরির মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একই সঙ্গে বিতর্কিত মামলার রায় দেওয়ার পরে বিচারক সুরেন্দ্র কুমার যাদবের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়ে। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি আরএফ নরিম্যান জানিয়ে দেন, যে চিঠি জমা পড়েছিল তা বিবেচনা করে দেখা গেছে, বিচারপতির নিরাপত্তা বাড়ানোর এই মুহূর্তে আর প্রয়োজনীয়তা নেই। সেই কারণে তাঁর নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হবে না।
উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট এক মাসের মধ্যে বাবরি মামলার রায় ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপর থেকে প্রতিদিন এই মামলার শুনানি হয়েছে। সিবিআই এখনও পর্যন্ত আদালতে ৩৫১ জন সাক্ষী ও ৬০০ ডকুমেন্ট প্রমাণ হিসেবে দাখিল করেছে। প্রাথমিকভাবে ৪৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু ১৬ জন বিচার চলাকালীন মারা গিয়েছেন।