কেন OMR শিট নষ্ট করা হল? শীর্ষ আদালতে কড়া প্রশ্নের মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

কেন OMR শিট নষ্ট করা হল? শীর্ষ আদালতে কড়া প্রশ্নের মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

 নয়াদিল্লি: ২০১৭ সালের মে মাস৷ আচমকাই বেশ কিছু টেট-পরীক্ষার্থীর মোবাইলে এসএমএস পাঠায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই পরীক্ষার্থীদের কেউই টেট পাশ করেননি। অথচ তাঁদের জানানো হয়, সব নথি ঠিক মতো না থাকায় তাঁদের নাম আটকে রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র নিয়ে তাঁরা যেন বিকাশ ভবনে দেখা করেন৷ এদিকে, টেট পাশ না করায়, তাঁদের কেউই চাকরির জন্য আবেদন করেননি। তা সত্ত্বেও ডিসেম্বর মাসে তাঁদের ফোন করে জেলা প্রাথমিক পর্ষদের তরফে জানানো হয়, সমস্ত নথি যাচাই করা হবে। এর পরে তাঁরা কোনও রকম ইন্টারভিউ, অ্যাপ্টিচুড টেস্ট ছাড়া চাকরিও পেয়ে যান৷ 

এদিন সুপ্রিম কোর্টে ছিল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানি৷ শুনানি পর্বে একের পর এক কড়া প্রশ্নের মুখে পড়ল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোস এবং বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ পর্ষদকে প্রশ্ন করে, মামলা যখন চলছে, তখন ওএমআর শিট নষ্ট করা হল কেন? শীর্ষ আদালত জানতে চায়, ২৭০ জন টেট পাশ করেননি। আবেদনও জানাননি, তা সত্ত্বেও তাঁদের চাকরির সুপারিশ করলেন কেন? কীসের ভিত্তিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ২৭০ জনকে এসএমএস পাঠানো হয়েছিল? কেন তাঁদের ফোন করা হল? এছাড়াও টেট পরীক্ষায় একটি প্রশ্নে ভুল ছিল৷ ওই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে পরীক্ষার্থীদের এক নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কারা সেই নম্বরের ভিত্তিতে টেট-উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করছেন, সেই তালিকা তখনও তৈরি হয়নি। তার আগেই কেন বাছাই করা কয়েক জনকে নথিপত্র নিয়ে আসতে বলা হল? প্রশ্ন ছুড়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ 

এছাড়াও, আদালত জানতে চায়, ৪২ হাজার শূন্যপদ ছিল৷ তার মধ্যে ২ হাজার পদ ফাঁকা রাখা হয়েছিল কেন? নিয়োগের অধিকার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কাউন্সিলের। পর্ষদ শুধু সুপারিশ করতে পারে। তাহলে ২ হাজার পদ বাদ রাখা হল কেন? আদালতের সকল প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য সময় চাইলেন পর্ষদের আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত। আগামী মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি।

এর আগে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালত বন্ধু নিয়োগ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আইনজীবী গৌরব আগরওয়ালকে ‘আদালত বন্ধু’ হিলাবে নিয়োগ করা হয়।  কলকাতা হাইকোর্টের তৈরি বাগ কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পর তার কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যত শীঘ্র সম্ভব এই মামলার সব পক্ষকে দেবেন তিনি। কলকাতা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাজ থেকে রিপোর্ট নেবেন গৌরব আগরওয়াল। তারপর তিনি মূল মূল বিষয়গুলি শীর্ষ আদালতের সামনে তুলে ধরবেন তিনি।