নয়াদিল্লি: পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরাতে এবার ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ আরও ১৫দিন সময় পাবে সংশ্লিষ্ট প্রশাস৷ বৃহস্পতিবার পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর সর্বোচ্চ আদালতের করা স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানিতে শুক্রবার এই নির্দেশ দিল আদালত৷ বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি সঞ্জয় কিষেণ কউল ও বিচারপতি এম আর শাহর বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়৷
আদালতের পর্যবেক্ষণ,‘‘আমরা এটাই মনস্থ করেছি, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে আর ১৫ দিন সময় দেওয়া যাবে রাজ্য ও কেন্দ্রকে৷ ওই সব শ্রমিকের ত্রাণ, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য কী কী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, রাজ্যগুলির তরফে তা আদালতকে জানানো হয়েছে৷ সেই মতোই ব্যবস্থা নিতে হবে৷’’ এই শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তকরণ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সহ অন্যান্য ইস্যুতে ৯ জুন রায় ঘোষণা করবে আদালত৷
এদিনের শুনানিতে এপর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের ফেরানোর তথ্য তুলে ধরে কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা সর্বোচ্চ আদালতকে জানিয়েছেন, ৩ জুন পর্যন্ত রেল মন্ত্রক ৪২২৮টি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালিয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত ৫৭ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছেন৷ ৪১ লক্ষ শরিক পথ দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। প্রায় এক কোটির বেশি পরিযায়ী শ্রমিক নিজের বাড়িতে ফিরেছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের গন্তব্য ছিল বিহার আর উত্তর প্রদেশ৷
মেহতা আরও জানিয়েছেন, কতজন শ্রমিক ভিন রাজ্যে আছেন আর কত ট্রেন এখনও চালানো প্রয়োজন কেন্দ্রের কাছে তার তালিকা আছে সেই হিসেব এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে। রাজ্যগুলোর তরফেও তালিকা তৈরি হচ্ছে। যদিও এপ্রসঙ্গে তিনি বিচারপতির বঞ্চের পাল্টা বক্তব্য ছিল, তাদের কাছে তথ্য আছে রে মহারাষ্ট্র মাত্র একটা স্পেশাল ট্রেনের দাবি করেছে। একথা স্বীকার করে নিয়ে সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, যদিও মহারাষ্ট্র থেকে মোট ৮০২টি ট্রেন ছাড়া হয়েছে।
এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের তরফে আইনজীবী কলিন গঞ্জাল্ভেস বলেন, “রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরে যে শ্রমিক পোর্টাল আছে তা ঠিকঠাক কাজ করছেনা। ফলে শ্রমিকরা নিজেদের নাম নথিভুক্তি করতে পারছেন। দুটি হাইকোর্ট এবিষয়য়ে নজর রাখছে। এই প্রক্রিয়াটি সরলীকরণ করতে হবে।” ২৮মে, শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে যে তাদের অভিবাসী শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরে যেতে চাইলে তাদের ট্রেন বা বাস ভাড়া নেওয়া হবে না এবং সারা দেশে আটকা পড়া শ্রমিকদের বিনা মূল্যে খাবার সরবরাহ করবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।