নয়াদিল্লি: বকরি ইদ উপলক্ষে লকডাউন শিখিল করা নিয়ে কেরল সরকারকে ভর্ৎসনা করল সুপ্রিম কোর্ট৷ এই ঘটনাকে ‘সরি স্টেট অফ অ্যাফেয়ার্স’ বলে উল্লেখ করে শীর্ষ আদালত৷ করোনা পরিস্থিতিতে কেন লকডাউনে শিথিলতা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে৷ মঙ্গলবার কার্যত কেরল সরকারকে তুলোধোনা করল সর্বোচ্চ আদালত৷
আরও পড়ুন- ‘পেগাসাস’-এ উত্তাল সংসদ, বিরোধীদের বিক্ষোভে শুরুতেই মুলতুবি দুই কক্ষ
এদিন কেরল সরকারের সমালোচনা করে সুপ্রিম কোর্ট বলে, বকরি ইদের আগে তিনদিনের জন্য লকডাউন শিখিল করা একেবারেই উচিত হয়নি৷ কেরলে শুধু করোনাই নয়, তাণ্ডব চালাচ্ছে জিকা ভাইরাস৷ এই পরিস্থিতিতে সরকারের এই সিদ্ধান্ত একেবারেই নাখুশ সুপ্রিম কোর্ট৷ বিচারপতি রোহিনটন ফলি এবং বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ তাদের নির্দেশে বলে, ‘‘আমরা কেরল সরকারকে নির্দেশ দিচ্ছি যে ভারতের সংবিধানের ২১ ও ১৪৪ ধারার উপর মনোযোগ দিক৷ কানওয়ার যাত্রার ক্ষেত্রে আমরা যে নির্দেশ দিয়েছিলাম সেটা মেনে চলতে হবে৷’’ কোনও ধর্মীয় বা অন্য কোনও কারণে যেন মানুষের মৌমিল অধিকার খর্ব না হয়৷
কেরল সরকারের তরফে বলা হয়েছে, মানুষের চাপে বিধি নিষেধ শিথিল করার নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার৷ এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, যে কোনও উপায়ে চাপ সৃষ্টি করা হোক, তার জন্য নাগরিকদের জীবনের অধিকার লঙ্ঘন করা যায় না৷ কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকলে সাধারণ মানুষ তা আমাদের গোচরে আনতে পারেন৷ তার ভিত্তিতে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে৷’’
আরও পড়ুন- নিজের ছাতা নিজে ধরতেই টুইটারে ট্রেন্ড ‘আমার গর্ব’, ভাবমূর্তি বদলের কৌশল মোদীর?
কেরল সরকার কোভিড আক্রান্ত এলাকাগুলিকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এলাকা রয়েছে ডি ক্যাটেগোরি-তে৷ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ডি ক্যাটেগরি এলাকায় যেভাবে একদিনের জন্য সমস্ত দোকানপাট খোলা হয়েছে তা অনভিপ্রেত। প্রসঙ্গত, এই এলাকায় কোভিডের পজিটিভিটি রেট ১৫ শতাংশ।