নগ্ন শরীরে সন্তানকে দিয়ে ছবি আঁকিয়ে মামলা, রেহানার সুপ্রিম আর্জি খারিজ

নগ্ন শরীরে সন্তানকে দিয়ে ছবি আঁকিয়ে মামলা, রেহানার সুপ্রিম আর্জি খারিজ

 

নয়াদিল্লি:  মহিলা হয়ে সবরিমালা মন্দিরে প্রবেশ করে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন কেরলের সমাজকর্মী রেহানা ফতিমা৷ আরও একবার শিরোনামে উঠে এলেন তিনি৷ গত মাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একটি ভিডিও রীতিমতো বিতর্কের ঝড় তোলে৷ নিজের অর্ধ নগ্ন শরীরের উপর সন্তানদের দিয়ে ছবি আঁকান ফতিমা৷ এর পরেই পসকো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স) আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়৷ এই মামলায় কেরল হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আগাম জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি৷ কিন্তু শুক্রবার তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ৷ 

আরও পড়ুন- কী ভাবে ভাবতে হবে, সেটাই আমাদের শেখাবে নয়া শিক্ষানীতি: মোদী

 

এদিন বিচারপতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ পসকো আইনে অভিযুক্ত রেহানা ফতিমার আবেদন খারিজ করে দেয়৷ এদিকে ফতিমার আইনজীবী গোপাল শঙ্করনারায়ণ আদালতকে বলেন, পসকো আইনের ১৩ নম্বর ধারা (যৌন আকাঙ্খা পূরণের উদ্দেশে কোনও শিশুকে মিডিয়ায় ব্যবহার করা) তাঁর মক্কেলের জন্য প্রযোজ্য নয়৷ কারণ ওই ভিডিয়োতে শিশুরা সম্পূর্ণ পোশাক পরেই ছিল৷ ফতিমা আদালতকে জানান, ‘‘নারী শরীরকে স্বাভাবিক রূপে তুলে ধরাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল৷ যাতে সন্তানদের মনে যৈনতা সম্পর্কে বিকৃত ধারনা না জন্মায়৷’’ তিনি আরও জানান, সন্তানদের তাঁর শরীরকে ক্যানভাসের মতো রঙ করতে বলেছিলেন তিনি৷ যদিও তাঁর যুক্তি খারিজ করে দেয় বিচারপচতি অরুণ মিশ্রর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ৷ উল্টে আদালতের প্রশ্ন, ‘‘আপনি এমনটা করেছেন কেন? আপনি একজন সমাজকর্মী৷ কী ভাবে আপনি আপনার সন্তানদের এ ধরনের কাজে ব্যবহার করলেন? 

আরও পড়ুন- স্টেট ব্যাঙ্কে পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে চান? জেনে নিন কী করবেন

গত মাসে এই মামলায় রেহানা ফতিমার অগ্রিম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল কেরল হাইকোর্ট৷ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন রেহানা। প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুন  রেহানা ফতিমা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেই ভিডিও-তে দেখা গিয়েছে তাঁর উর্ধাঙ্গে কোনও আবরণ নেই৷ সেই অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছেন তিনি। শরীরে রয়েছে শুধুমাত্র একটি লাল রঙের শর্টস। ওই অবস্থায় রেহানার নগ্ন বুকের উপর তাঁর শিশু পুত্র ও কন্যা একটি ফিনিক্স পাখির ছবি আঁকছে। যদিও ভিডিওটি আপলোড করার সঙ্গে ফতিমা মালায়ালাম ভাষায় তাঁর ক্যাপশনে লেখেন, 'বদ্ধ যৌনতার সমাজে মহিলারা একদম নিরাপদ বোধ করেন না। কোনও মহিলার শরীর এবং যৌনতা কী সেই সম্পর্কে আরও খোলামেলা হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে৷ যদি বাড়ি থেকেই তা শুরু করা হয় তবে সমাজে পরিবর্তন আসবে৷' এই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্কের ঝড় ওঠে৷ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয় ফতিমার বিরুদ্ধে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × 4 =