নয়াদিল্লি: পকসো আইন নিয়ে দুটি রায় ঘিরে বিতর্ক! এবার সরাসরি প্রশ্নের মুখে বম্বে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা। তাঁকে বোম্বে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতির পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম।
এক মাসে পরপর দু’বার রায় ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে নেট দুনিয়ায়৷ সরাসরি সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছে বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালার নাম৷ গত ১৯ জানুয়ারি শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন বা পকসো আইনের মামলায় তিনি রায় দিয়েছিলেন, “সরাসরি ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শে না হলে তা যৌন নিগ্রহের আওতায় পড়বে না। এমনকি হাত ধরা, জামার উপর দিয়ে নাবালিকার বুকে হাত দেওয়া, প্যান্টের জিপ খুলে যৌনাঙ্গ প্রদর্শনও পকসো আইনের বিবেচনার মধ্যে পড়বে না।” তার এই রায়ের ভিত্তিতেই পকসো আইনের শাস্তি থেকে রক্ষা পান ৩৯ বছর বয়সী এক অভিযুক্ত। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই এই রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্ট।
২৮ জানুয়ারি পকসো আইনের মামলায় ফের একটি রায় ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক৷ বম্বে হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালা তাঁর রায়ে জানান, “শুধুমাত্র যদি যৌন ইচ্ছে নিয়ে শিশুদের গোপনাঙ্গে স্পর্শ করা হয় তবেই তা পোকসো আইন অনুযায়ী যৌন নিগ্রহের আওতায় পড়বে।” এই দুই রায়ে গোটা দেশ তোলপাড় হয়ে যায়। এরপরই পুষ্পা গানেদিওয়ালাকে বম্বে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কলেজিয়াম।
সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের কমিটির কলেজিয়াম বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় দেখে। এই কমিটির মাথায় রয়েছেন প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে। বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি পদে পুষ্পা গানেদিওয়ালার নাম সুপারিশ করে কলেজিয়াম৷ এরপরই শুরু হয় বিরোধিতা। এই সুপারিশ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে৷ দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত নেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কলেজিয়াম। নাগপুর বেঞ্চের বিচারপতি পুষ্পা গানেদিওয়ালাকে বম্বে হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি পদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।