নয়াদিল্লি: হিজাব মামলায় বিচারপতির প্রশ্নবাণে বিদ্ধ আইনজীবী৷ এদিন শুনানির সময় বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা হিজাবের পক্ষে সওয়ালকারী আইনজীবীকে বলেন, ‘এবার কি পোশাকের অধিকারের মধ্যে পোশাক খোলার অধিকারও অন্তর্ভুক্ত হবে?’
আরও পড়ুন- লখনউ থেকে উদ্ধার ১০ কোটি মূল্যের বমি! পাচার করতে গিয়ে ধৃত ৩
বুধবার সুপ্রিম কোর্টি ছিল হিজাব মামলার শুনানি৷ সেখ সময় হিজাবের পক্ষে সওয়ালকারী আইনজীবী দেবদত্ত কামাত বলেন, ‘বিশেষ বিশেষ সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা গলায় রুদ্রাক্ষের মালা বা ক্রস পরেন। তাহলে হিজাবে আপত্তি কিসের?’ এই প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি বলেন, ‘এখানে মূল সমস্যাটি হল, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় হিজাব পরার পক্ষে জোর দিচ্ছে। বাকি সমস্ত সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠানের ড্রেসকোড মেন চলছে৷ অন্যান্য সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা বলছে না যে আমরা এটা পরব বা ওটা পরতে চাই।’ আর রুদ্রাক্ষ এবং ক্রস প্রসঙ্গে তাঁর পর্যবেক্ষণ, ‘এগুলি তো শার্টের ভেতরে থাকে। কেউ তা শার্ট খুলে দেখতে যাচ্ছে না। নাকি এবার পোশাক পরার অধিকারের মধ্যেই পোশাক খোলার অধিকার অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে?’
হিজাব মামলায় বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চের অভিমত, ‘একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কেউ ধর্মীয় অনুশীলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য জোর খাটাতে পারেন কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন। কারণ আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, আমরা ধর্মনিরপেক্ষ দেশ।’ সুপ্রিম কোর্ট আরও জানায়, ‘আপনি যুক্তি দিতে পারেন যে স্কুলে পোশাকবিধি চালু করা যায় না। তেমনটা যদি হয়, তাহলে তো কোনও পড়ুয়ার ইচ্ছে হলেই মিনিস্কার্ট পরে স্কুলে চলে যেতে পারবে৷’
বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তর পর্যবেক্ষণ, ‘যদি স্কুলে হিজাব, স্কার্ফ বা নিজের পছন্দের অন্য যে কোনও পোশাক পরে যাওয়ার নিয়ম থাকে, তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু যেখানে স্কুলের নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম রয়েছে, সেখানে কীভাবে হিজাব পরা সম্ভব?’
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>