চেন্নাই: আর কয়েক দিন পরেই তামিলনাড়ুতে বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক যেন তার আগের মুহূর্তেই বড় নাটক। রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন শশীকলা। এক চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ক্ষমতার লোভ তাঁর নেই, তাই রাজনীতি থেকে পুরোপুরি সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, ঠিক কয়েক সপ্তাহ আগেই জেল থেকে মুক্ত হয়ে পুরোদমে রাজনীতিতে ফিরে আসার ঘোষণা করেছিলেন তিনি। সেই ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যেই উল্টো স্রোত।
আরও পড়ুন: মমতার ভবানীপুরে বিজেপির প্রার্থী কে? চর্চায় তথাগত রায়!
এআইএডিএমকে সদস্যদের বার্তা দিয়ে শশীকলা জানিয়েছেন, তারা যেন পুরোদমে প্রস্তুতি নেয় নির্বাচনে ডিএমকেকে হারানোর জন্য। এই কারণে তিনি ভগবান এবং জয়ললিতার কাছে প্রার্থনা করবেন বলে জানিয়েছেন শশীকলা। রাজনীতি থেকে পুরোপুরি সরে যাওয়ার প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, তিনি একেবারেই ক্ষমতার লোভী নন, তাই জয়ললিতার মৃত্যুর পরেও ক্ষমতার লোভ করবেন না। কারণ তিনি জীবিত থাকাকালীন ক্ষমতার লোভ করেননি। প্রসঙ্গত, দুর্নীতি মামলায় চার বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ কোটি টাকার আর্থিক জরিমানা হয়েছিল শশীকলার। কিছুদিন আগেই জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি পুরোদমে রাজনীতিতে আসার কথা ঘোষণা করেছিলেন। তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে নিয়ে ব্যাপকভাবে চর্চা বেড়েছিল। এখন হঠাৎ শশীকলার এই সিদ্ধান্ত জল্পনা সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: শ্যুটিং সেটে নগ্ন জন আব্রাহাম! ছবি ফাঁস হতেই শোরগোল নেট দুনিয়ায়
উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়ে ২০১৭ সাল থেকে জেলে ছিলেন শশীকলা এবং তাঁর দুই আত্মীয় ইল্লাবারাসি ও সুধাকরন। আয়কর দফতর শশীকলা ও তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে যোগ থাকার সন্দেহে ১৮৭টি বাড়িতেও হানা দিয়েছিল। প্রায় ১৪৩০ কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তাদের বিরুদ্ধে। তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ছায়াসঙ্গী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন শশীকলা। বোন হিসেবেই শশীকলাকে সম্বোধন করতেন তিনি। প্রসঙ্গত, জেলে থাকাকালীন শশীকলাকে দলের প্রধানের পদ থেকে অপসারিত করা হয়েছিল এবং তাঁকে সরিয়েছিলেন খোদ পালানিস্বামী। যদিও এই পালানিস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়েছিলেন শশীকলা নিজে এমন কথা প্রচলিত আছে। যদিও সেই কথা মানতে নারাজ পালানিস্বামী।