নয়াদিল্লি: করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে জীবনের সব থেকে বেশি গুরুত্ব হয়ে উঠেছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার৷ কিন্তু, সেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উপর এবার ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি বসালো কেন্দ্র৷ করোনা আহবে অতি প্রয়োজনীয় এই পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ হারে জিএসটি চেপে বসায় আরও বাড়বে দাম৷ যদিও চাল-ডাল, আলু-পিঁয়াজ, স্যানিটাইজার অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা থাকে আগেই মুছে দিয়েছে কেন্দ্র৷ এবার স্যানিটাইজারের উপর থেকেও ১৮ শতাংশ হারে জনতার পটেক থেকে কর আদায় করবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার৷ তাতে লক্ষ্মীলাভ হবে কেন্দ্র ও রাজ্যের৷়
যদিও এই জিএসটি বসানোর পিছনে যুক্তিও দিয়েছে কেন্দ্র৷ যেহেতু, সাবান, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল পণ্যে ১৮% হারে জিএসটি চাপানো আছে, ফলে, একই ধরনের জীবাণুনাশক পণ্য স্যানিটাইজারে১৮% জিএসটি কার্যকর করা হয়েছে৷ কেন্দ্রের আরও যুক্তি, শুধু কেন্দ্র সরকার নয়, জিএসটি কাউন্সিলের রাজ্য সরকারগুলিও জিএসটি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়৷ জিএসটি কমানো হলে আমদানি করাপণ্য থেকে রাজ্যগুলি বেশি সুবিধা পেয়ে যাবে৷ তা কেন্দ্রীয় সরকারের আত্মনির্ভর ভারতের বিরোধী৷ আমজনতার কিছু লাভ হবে না৷ কারণ দেশীয় সংস্থাগুলির সমস্যায় পড়বে৷ স্থানীয় সংস্থাগুলি বেশি লাভবান হবে বলেও যুক্তি দেয়া হয়েছে৷ স্থানীয় সংস্থার লাভ দেখতে গিয়ে উপেক্ষিত সাধারণ জনতার পকেট৷
স্যানিটাইজারের উপর ১৮ শতাংশ হারে কর বসানো হলেও দেশের কর ব্যবস্থায় সোনা-গয়নার উপর মাত্র ৩ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়৷ অথচ মানুষের প্রাণরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি চাপানো কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ কোভিড-কালে মাস্ক ও স্যানিটাইজার তৈরিতে ‘আত্মনির্ভর’ হয়ে উঠেছে দেশ৷ মন্দা কাটিয়ে স্যানিটাইজার মজুত করছেন ব্যবসায়ীরা৷ এবার অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তকমা ছেঁটে ফেলার পর হ্যান্ড স্যানিটাইজারের উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷