নিউইয়র্ক: এতবার ছুরি আঘাত করার পরেও বেঁচে গিয়েছেন প্রখ্যাত লেখক সালমন রুশদি। এই খবর কিছুটা দেরিতে পৌঁছায় তাঁর হামলাকারী হাদি মাতাদের কাছে। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রুশদি চেয়ে বেঁচে আছেন প্রথমদিকে সেকথা বিশ্বাসই করতে চায়নি তার হামলাকারী। সম্প্রতি দা নিউইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে প্রখ্যাত এই সাহিত্যিক সালমন রুশদির উপর হামলা চালিয়েছে যে, সেই যুবক হাদি মাতারের সাক্ষাৎকার। সেই সাক্ষাৎকারে বছর ২৪-এর হাদির বয়ান তুলে ধরা হয়েছে যেখানে সে প্রথমে রুশদির বেঁচে থাকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল। ওই সাক্ষাৎকারে হাদি মাতার বলে, ‘হামলার পর যখন জানতে পারলাম তিনি বেঁচে আছেন তখন হতবাক হয়েছি। তাছাড়া খামেনিকে (ইরানের সর্বোচ্চ নেতা) শ্রদ্ধা করার কথাও জানায় সে।
হাদি সংবাদমাধ্যমকে আরও জানিয়েছে, খামেনি তাকে কোনোভাবেই এই হামলার জন্য প্ররোচিত করেনি। ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। রুশদিকে সে নিজেই পছন্দ করত না। তাঁর কথায়, ‘তাকে (রুশদি) আমি খুব বেশি পছন্দ করি না। তিনি ইসলামের ওপর হামলা করেছেন। তিনি মুসলিমদের বিশ্বাসে আঘাত করেছেন।’ ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল রুশদির চতুর্থ বই ‘স্যাটানিক ভার্সেস’। এটি বিশ্বের অন্যতম বিতর্কিত একটি বইয়ের মধ্যে একটি। তাছাড়া এটি রুশদিরও সবচেয়ে বিতর্কিত কাজ হিসাবে পরিচিত যা তাঁকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নজিরবিহীন বিপদে ফেলেছিল। বইটি প্রকাশের পর রুশদিকে এত হত্যার হুমকি দেওয়া হয় যে তিনি আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। ব্রিটিশ সরকার পরে তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেছিল।