লকডাউনে ঈশ্বের ক্ষতি! দিনে ১.৫৮ কোটি টাকার লোকসান সাই মন্দিরে

লকডাউনে ঈশ্বের ক্ষতি! দিনে ১.৫৮ কোটি টাকার লোকসান সাই মন্দিরে

মুম্বই:  করোনার থাবায় কোপ পড়েছে মন্দিরের কোষাগারেও৷ মন্দিরে ভক্ত সমাগম নেই৷ ফলে বাক্স বোঝাই করে প্রণামি দেওয়ার হিড়িকও নেই৷ যেটুকু আসছে, তা ওই অনলাইনের দৌলতেই৷ গত ১৭ মার্চ থেকে ৩ মে টানা লকডাউনে দেশের অন্যতম ধনী মহারাষ্ট্রের শিড়ডি সাই বাবা মন্দির ট্রাস্টে দৈনিক উপার্জন কমেছে দেড় কোটি টাকা৷ এই ক’দিনে মন্দিরের কোষাগারে অনলাইন ডোনেশন এসেছে মাত্র ২ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা৷

বছরে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা উপার্জন হয় শিড়ডি সাই বাবা মন্দিরে৷ মন্দিরের দৈনিক প্রণামি পড়ে প্রায় ১ কোটি ৬৪ হাজার টাকা৷ কিন্তু লকডাউনের বিপুল ভাবে ক্ষতি হয়েছে মন্দিরের কোষাগারে৷ হিসাব বলছে, দিনে ১ কোটি ৫৮ লক্ষ টাকা আয় কমে গিয়েছে৷ জুন মাস পর্যন্ত লকডাউন চললে ১৫০ কোটি টাকা লোকসান হবে সাই বাবার মন্দির ট্রাস্টের৷ যার প্রভাব পড়তে পারে  ট্রাস্টের সমাজ সেবা মূলক কাজের উপরেও৷

কোভিড-১৯ সংক্রমণ মাথাচারা দিতেই ভক্তদের জন্য বন্ধ হয়ে যায় বিশ্বখ্যাত সাই বাবা মন্দিরের দরজা৷ ১৭ মার্চ থেকে মন্দিরে ভক্ত সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়৷ আপাতত অনলাইনেই সাই দর্শন করছেন ভক্তরা৷ ১৭ মার্চ থেকে ৩ মে’র মধ্যে অনলাইনে ভগবানের চরনে নিবেদিত হয়েছে ২ কোটি ৫৩ লক্ষ টাকা৷ সাধারণ সময়ে দিনে ৪০ থেকে ৫০ হাজার পূণ্যার্থী আসে সাই বাবার দর্শনে৷ চ্যারিটির জন্য এক দিনেই ১ কোটিরও বেশি টাকা আসে ট্রাস্টের হাতে৷ ফি বছর প্রায় ৬০০ কোটি উপার্জন তো হয়ই৷ এর মধ্যে ৪০০ কোটি আসে টাকা, সোনাদানা, রুপো এবং অন্যান্য দান সামগ্রী থেকে৷

শিড়ডির সাই বাবা ইনস্টিটিউট একাধিক সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত৷ আর্থিক সংকটের জেরে সমস্যায় পড়েছে সেই কাজ৷ যদিও মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের প্রায় শেষপ্রান্তে এসেই শুরু হয় করোনাভাইরাসের তান্ডব৷ ২০২০-২১ অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার আগে হাতে এখনও অনেকটা সময়ই পড়ে রয়েছে৷ ভক্ত সমাগম শুরু হলেই, ফের ভরে উঠবে মন্দিরের কোষাগার৷ উপার্জন কমলেও, সমাজ সেবায় কোনও খামতি তারা রাখেনি বলেই জানিয়েছে ট্রাস্ট কমিটি৷ প্রতি বছরে বিনা পয়সায় কয়েক হাজার মানুষের চিকিৎসা করেন তাঁরা৷ হার্টের অপারেশন হোক বা অন্য কোনও রোগের চিকিৎসা৷ ফি বছর এই খাতে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় করে সাই বাবা ট্রাস্ট কমিটি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *