ভারতেও ব্যবহার হতে পারে রাশিয়ার ভ্যাকসিন, দাবি এইমসের

ভারতে করোনা পরিস্থিকতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বে সর্বাধিক। বিশ্বে মোট যতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তার ২৩ শতাংশ ভারতে। এই পরিস্থিতিতে সবাই করোনার ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছে। করোনার ভ্যাকসিন এই আতঙ্ক থেকে মানুষকে বাঁচাতে। রাশিয়া ইতিমধ্যে করোনা ভ্যাকসিন প্রস্তুতের দাবি জানিয়েছে। তবে রাশিয়ার সেই ভ্যাকসিন নিয়ে তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায় না ভারত। এইমসের তরফে জানানো হয়েছে, টিকা দেওয়ার পরে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না দেখা দরকার। তারপরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

নয়াদিল্লি:  ভারতে করোনা পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বে সর্বাধিক। বিশ্বে মোট যতজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, তার ২৩ শতাংশ ভারতে। এই পরিস্থিতিতে সবাই করোনার ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছেন। রাশিয়া ইতিমধ্যে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি জানিয়েছে। তবে রাশিয়ার সেই ভ্যাকসিন নিয়ে তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চায় না ভারত। এইমসের তরফে জানানো হয়েছে, টিকা দেওয়ার পরে কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না দেখা দরকার। তারপরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷

আরও পড়ুন- প্রয়াত স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে গৃহপ্রবেশ বৃদ্ধ স্বামীর, পূর্ণতা পেল জীবনসঙ্গিনীর শেষ স্বপ্ন

এইমসের প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া জানান, রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিনের সেফটি ট্রায়াল দরকার। যদিও রাশিয়া দাবি করেছে, তারা পরীক্ষা করেছে। কিন্তু মানুষের শরীরে কীভাবে প্রভাব ফেলবে, তা আমাদের দেখা দরকার। তারপরেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাশিয়া প্রথম স্তরের ট্রায়ালে ৭৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ৩৮ জনকে ইঞ্জেকশন ও বাকিদের টিকার পাউডার দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তিনি জানিয়েছেন, যে কোনও ভ্যাকসিন মাববদেহে প্রয়োগের আগে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ও হিউম্যান ট্রায়াল প্রয়োজন। অন্য দিকে, রাশিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বের ২০টি দেশ এই ভ্যাকসিন কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে পাঁচটি দেশ এই ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ে ট্রায়াল শুরু করতে চেয়েছে। তার মধ্যে ভারত রয়েছে।

আরও পড়ুন- ঘরোয়া উপায়ে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করব কীভাবে? গুগল সার্চে ট্রেন্ডিং টিকার সন্ধান

রাশিয়ার প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ফান্ডের আধিকারিক কিরিল দিমিত্রভ জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনটি নিয়ে ইতিমধ্যে বহু দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ২০টি দেশ থেকে প্রায় ১০০ কোটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। তবে তিনি অভিযোগ করেছেন, রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আসলে কেউ রাশিয়াকে ভ্যাকসিন তৈরির কৃতিত্ব দিতে চায় না। তবে ভ্যাকসিনের জন্য বিদেশের সঙ্গে চুক্তি করতে রাশিয়া। বিদেশি কোনও চুক্তিতে ৫০ কোটি রাশিয়ার ভ্যাকসিন তৈরিতে প্রস্তুত৷

তবে এখনও এই ভাইরাসের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা এখনও হয়নি। রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল টেস্টের জন্য বিশ্বের পাঁচটি দেশকে বেছে নেওয়া হয়েছে। দিমিত্রভ জানিয়েছে, চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালের পরেই সেপ্টেম্বর থেকে এই ভ্যাকসিন বাণিজ্যিক উপায়ে তৈরি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × three =