কলকাতা: অরুণ জেটলির প্রয়াণে গভীর দুঃখ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ টুইটারে তাঁর শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জেটলি ছিলেন অসাধারণ সাংসদ ও বিশিষ্ট আইনজীবী৷ তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মমতা৷ রাজনীতিতে বড় ক্ষতি বলেও মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী৷
লেখেন, অরুণ জেটলি প্রাণে আমি শোকস্তব্ধ৷ অসাধারণ সংসদ ও আইনজীবী ছিলেন তিনি৷ রাজনীতিতে জেটলির অবদান সবাই রাখবে৷ ভারতীয় রাজনীতিতে তাঁর অবদান স্মরণ করা হবে৷ তাঁর স্ত্রী, সন্তান, বন্ধু ও সমর্থকদের প্রতি আমার সমবেদনা৷’’
দীর্ঘ লড়াই শেষে প্রয়াত হলেন অরুণ জেটলি৷ জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই৷ গত ৯ অগস্ট থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি হন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী৷ তখন থেকেই তাঁর চিকিৎসায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় চিকিৎসা৷ কিন্তু, সব লড়াই শেষে আজ ৬৮ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি৷ আজ দুপুর ১২টা ৭ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জেটলি৷
আজ সকাল থেকেই অত্যন্ত সংকটে ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি৷ শারীরিক অবস্থা আরও অবনতি হয়৷ শনিবার সকালে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়৷ গত ৯ আগস্ট শ্বাসকষ্ট নিয়ে দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি হন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী৷ চিকিৎসকরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জেটলির চিকিৎসা চালিয়ে গেলেও খুব সাড়া মিলছে না বলে জানান চিকিৎসকরা৷ জেটলির চিকিৎসায় গঠন করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড৷ স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞরা তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখে৷ কিন্তু, পরিস্থিতি ক্রমাগত জটিল হওয়ায় উদ্বেগ বাড়তে থাকে৷
Home Minister Amit Shah has cut short his visit to Hyderabad, and is returning to Delhi following passing away of former Finance Minister Arun Jaitley. https://t.co/jcyd3pel4z
— ANI (@ANI) August 24, 2019
জানা গিয়েছে, কিডনি প্রতিস্থাপনের পর থেকে শারীরিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছেন অরুণ জেটলি৷ ডায়াবেটিসের মারাত্মক প্রকোপও বেড়েই চলেছে৷ ফলে, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কার দোলাচল চলেছে৷ অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন অন্তবর্তী বাজেট পেশের সময় দেশে ছিলেন না জেটলি৷ কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য গিয়েছিলেন বিদেশ৷ সেখান থেকে ফিরে ফের অর্থমন্ত্রকের দায়িত্বনেন৷ পরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন৷ এমনকী বিজেপি সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে মন্ত্রিত্ব নিতেও আপত্তি তোলেন৷
১৯৫২ সালে জন্মদেন জেটলি৷ সামলেছেন তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রকের দায়িত্ব৷ ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা৷ মোদির জমানায় প্রথম অর্থ ও বাণিজ্য দপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন জেটলি৷ ছাত্রাবস্থাতেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি৷ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্য হন৷ শ্রীরাম কলেজের বাণিজ্যে স্নাতক৷ পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বিখ্যাত আইনজীবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷ ১৯৮৯ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য ছিলেন তিনি৷