অচল শরীরে ব্যাট হাতে ছক্কা হাঁকাচ্ছে পোলিও আক্রান্ত কিশোর, কুর্নিশ!

ইচ্ছডানায় ভর করে অনেকেই অনেক অসাধ্য সাধন করেছে৷ শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়েছে, সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়েছে৷ হয়তো সেই পথেরই পথিক মাদ্দারাম৷ বছর ষোলোর কিশোর৷ খুব ছোট ছিল তখন থেকেই দুটো পা পোলিও আক্রান্ত৷ কিন্তু তাতে যেমন স্কুলে যাওয়া আটকায় না, তেমনই সতীর্থদের সঙ্গে খেলাধুলাতেও সমানভাবে সাবলীল৷

68369b493718468524e05a38d5dbd3cd

দান্তেওয়ারা: ইচ্ছডানায় ভর করে অনেকেই অনেক অসাধ্য সাধন করেছে৷ শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়েছে, সাত সমুদ্র পাড়ি দিয়েছে৷ হয়তো সেই পথেরই পথিক মাদ্দারাম৷ বছর ষোলোর কিশোর৷ খুব ছোট ছিল তখন থেকেই দুটো পা পোলিও আক্রান্ত৷ কিন্তু তাতে যেমন স্কুলে যাওয়া আটকায় না, তেমনই সতীর্থদের সঙ্গে খেলাধুলাতেও সমানভাবে সাবলীল৷

ছত্তীসগড়ের দান্তেওয়ারা জেলার ছোট্ট গ্রাম বাংলুর৷ সেখানকার কেটকল্যান এলাকার স্থানীয় একটি স্কুলে ক্লাস সেভেনের কিশোর মাদ্দারাম কাওয়াসি৷ মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় তার ক্রিকেট খেলার পারদর্শীতা চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছিল৷ তবে নতুন বছরে হঠাৎ করেই তাঁর এই ক্রিকেট প্রীতি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে স্যোশাল মিডিয়ায়৷

একদিন খেলার ছলে তারই এক বন্ধু নিজের বাবার মোবাইলে মাদ্দারামের খেলার কিছু মুহূর্ত রেকর্ড করে রাখে৷ পরে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেয়৷ ভিডিওটি চোখ এড়ায়নি মাস্টার ব্লাস্টার শচীন টেন্ডুলকারের৷ নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভক্তদের উদ্দেশ্যে  ওই ভিডিওটি পোস্ট করেন শচীন লেখেন “আপনাদের ২০২০ শুরু হোক বন্ধুদের সঙ্গে ছোট্ট মাদ্দারামের এই অনুপ্রেরণাদায়ী ভিডিওটি দিয়ে৷এই ভিডিও আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে আশা করি আপনাদের হৃদয়ও ছুয়ে যাবে৷”

এরমধ্যেই ওই ভিডিওটি চার লক্ষ বার দেখা হয়েছে৷ লাখেরও বেশি লাইক এবং ১৫ হাজার রিট্যুইট এসেছে৷ শচীনের এই ট্যুইটের পরেই মাদ্দারামের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে যান এলাকার বিশিষ্ট মানুষ৷ সংবাদমাধ্যমেরও অনেকেই পৌঁছে যান ওই কিশোরের বাড়িতে৷ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দুই হাঁটুর উপর দাঁড়িয়ে কিভাবে ব্যাট করছে মাদ্দারাম৷ দুই হাঁটুতে ভর দিয়েই নিজের শরীরটাকে টেনে নিয়ে গিয়ে
রানও নিচ্ছে৷ ঈশ্বর প্রদত্ত শক্তি না থাকলে এমন দুঃসাধ্য কাজ এই প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কেউ কল্পনাও করতে পারে না৷ খবর পেয়ে কিশোরের স্কুলে পৌঁছে যান  ব্লক এডুকেশন অফিসার, গোপাল পান্ডে৷

তিনি বলেন, এটি আমাদের সবার জন্য গর্বের মুহূর্ত৷” মাদ্দারাম ও তার বন্ধুদের জন্য একটি ক্রিকেট কিট উপহার দেন তিনি৷ ইতি মধ্যেইতার বাড়িতে গিয়ে তার বাবাকে সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস  দিয়েছেন ছত্তীসগড়ের মন্ত্রী কাওয়াসি লাকমার ছেলে হরিশ লাকমা৷ স্কুলের শিক্ষক ও স্থানীয়দের কথায় ও খুবই কর্মোদ্যম ছেলে৷ তবে তার ক্রিকেট খেলার দৃশ্য নেটিজেনদের মন ছুঁয়েছে তার ভবিষ্যৎ স্বপ্ন কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন৷