জয়পুর: অবশেষে স্বস্তির হাওয়া কংগ্রেস শিবিরে৷ কংগ্রেস হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে বিদ্রোহে ইতি টেনে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের মুখোমুখি হলেন শচীন পাইলট৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে কংগ্রেসের বৈঠকে পাশাপাশি দেখা যায় তাঁদের৷ করমর্দনও করেন তাঁরা৷ দীর্ঘ এক মাস বিদ্রোহের পর ঘরে ফিরেছেন শচীন৷ এদিন সকালে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেন, ‘‘ভুলে গিয়েছি এবং ক্ষমা করেছি৷’’
আরও পড়ুন- ‘বাবা এখনও বেঁচে আছেন’, প্রণব ‘মৃত্যু’র গুজব রুখতে আর্জি অভিজিৎ-শর্মিষ্ঠার
শচীনের প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে গিয়েছে বিজেপি’র মরু রাজ্যে ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন৷ তা সত্ত্বেও আগামীকাল রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে গেরুয়া শিবির ও তাদের সমর্থকরা৷ আজ বিজেপি পরিষদীয় দলের বৈঠকের পরে রাজস্থান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা গুলাবচন্দ কঠেরিয়া এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আগামীকাল বিধানসভায় গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনব আমরা৷ এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেও৷ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের দাবি, যদি বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়কদের কয়েকজনও সরকারের বিরুদ্ধে ভোট দেন, তাহলে সেটাই হবে তাঁদের ‘নৈতিক জয়’।
আরও পড়ুন- প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নয়া রেকর্ড গড়লেন মোদী, ভাঙলেন বাজপেয়ীর রেকর্ড
এদিকে, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন শচীন পাইলট৷ এর পরই রাজস্থানের সংকটকে ‘বন্ধ অধ্যায়’ বলে আখ্যায়িত করে কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ ফলে বিধানসভায় গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও, বিজেপি’র যুদ্ধ জয়ের আশা কার্যত শেষ৷ অন্যদিকে, বিদ্রোহে ইতি টেনে রাজস্থানে ফিরে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “মনে কোনও দুঃখ নেই। কোনও দিনই রাজ্য সরকারের অংশ ছিলাম না। প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা হিসেবে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার চেষ্টা করেছি। আমি নিজের জন্য কোনও পদের দাবি করিনি। শুধু নিশ্চিত করতে চেয়েছি, যে বিধায়করা বিরোধিতা ভুলে মূলস্রোতে ফিরছেন, তাঁদের যাতে প্রতিহিংসার শিকার না হতে হয়।” গেহলট সরকার ভাঙার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক ভানোয়ার লাল শর্মা এবং বিশ্বেন্দ্র সিং-কে বরখাস্ত করা হলেও, পরে তাদের উপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়৷
আরও পড়ুন- রাজ্যকে করোনা ভ্যাকসিন পাঠাবে কেন্দ্র, বণ্টনের দায়-দায়িত্ব কেন্দ্রের হাতেই
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে ১৮ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রাজস্থান ছেড়ে দিল্লি চলে যান পাইলট৷ এর পর থেকেই বাড়তে থাকে মরু রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের উত্তজনা৷ তবে হাইকমান্ডের সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করে দেন কংগ্রেসেই থাকছেন পাইলট৷