নয়াদিল্লি: আফগানিস্তান দখল করে এবার নতুন সরকার গড়ার কাজ শুরু করে দিয়েছেন তালিবান। তাদের তরফে স্পষ্ট জানান হয়েছে যে, দেশে গণতন্ত্র থাকবে না, ইসলামিক আইন মেনে মানুষকে থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান থেকে শুরু করে চিন, রাশিয়া কার্যত তালিবান সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু ভারত এখনও পর্যন্ত তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি, এর জন্য তাদের হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে নয়াদিল্লিকে। তবে আদতে কি আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে ভারত? এই নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
আরও পড়ুন- ‘মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বিব্রতকর পরিস্থিত’, আফগানিস্তানে বাইডেনের পদক্ষেপে কটাক্ষ ট্রাম্পের
বিদেশমন্ত্রী জানান, বাকি সব দেশের মত ভারতও আফগানিস্তানের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। এই মুহূর্তে সেখানে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা প্রথম লক্ষ্য বলেই জানিয়েছেন তিনি। তবে এখন যেহেতু তালিবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তাই তাদের সঙ্গে কথা বলা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন জয়শঙ্কর। এককথায়, তালিবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ভারতের। তবে আগেই তালিবান সম্পর্কে ভারতের যা অবস্থান ছিল তার বিরোধিতা করেছিল তালিবান। দাবি তোলা হয়েছিল যাতে ভারত সেই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে। এদিকে, রবিবার কাবুল দখল করার পরেই ভারতের সঙ্গে সমস্ত আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান। পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে সমস্ত ট্রানজিট রুটে পণ্য পরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান। মূলত আফগানিস্তানে ওষুধপত্র, চিনি, চা, মশলা ও বস্ত্র রফতানি করত ভারত৷ আমদানি করা হত শুকনো ফল৷ কিন্তু পাকিস্তান দিয়ে আর পণ্য আমদানি রফতানি করা যাচ্ছে না৷ তবে দুবাই ও উত্তর-দক্ষিণ করিডর দিয়ে এখনও পণ্য পরিবহনে সমস্যা তৈরি হয়নি৷
আরও পড়ুন- Taliban-Northern Alliance: জনতার প্রতিরোধে বেসামাল তালিবান! কড়া প্রত্যাঘাত
প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বহু পুরনো৷ শেষ ২০ বছর সে দেশে প্রচুর অর্থও বিনিয়োগ করেছে ভারত৷ রাস্তা ঘাট এবং পরিবহণ ব্যবস্থা তো বটেই, চাবাহার বন্দর ও আফগানিস্তানের সংসদ ভবনও তৈরি করতে আর্থিক মদত জুগিয়েছিল ভারত৷ বর্তমানে প্রায় ৪০০টি প্রকল্পের কাজ চলছিল আফগানিস্তানে৷ ভারতের কাছে রফতানির বড় বাজার ছিল আফগানিস্তান৷