নয়াদিল্লি: আশঙ্কা সত্যি করে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কথা ঘোষণা করতেই আরও জটিল পরিস্থিতি৷ যুদ্ধের আঁচ পড়ল বিশ্বের শেয়ার বাজারে৷ বাজার খুলতেই নেমেছে ধস৷ ব্যতিক্রম নয় ভারতও৷ নিম্নমুখী সেনসেক্স-নিফটি৷
আরও পড়ুন- যুদ্ধের ক্ষত কি কেড়ে নেবে ইউক্রেনের এই সকল স্থানগুলির সৌন্দর্য্য
এদিকে, আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করতেই পরিস্থিতি আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। কারণ পূর্ব এবং পশ্চিম ইউরোপের বহু দেশেরই অর্থনীতি নির্ভর করে রাশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেলের উপর৷ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই সকল প্রাকৃতিক সম্পদের সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে কোভিড-ধ্বস্ত বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন করে ধস নামবে৷ ইউরোপীয় মাপকাঠিতে অর্থনীতিতে পিছিয়ে থাকলেও ইউক্রেন মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র৷ জনসংখ্যায় অষ্টম৷ ফলে ইউক্রেনে কোনও অস্থিরতা তৈরি হলে তার প্রভাব পড়বে ভারতের অর্থনীতিতেও৷
তাছাড়া আরও একটি গুরিত্বপূর্ণ বিষয় হল আমেরিকার অবস্থান৷ ন্যাটোবাহিনী ইউক্রেনের পাশে না দাঁড়ালে বিশ্বে আমেরিকার প্রভাব শিথিল হয়ে পড়বে৷ আগামী দিন একই ভাবে তাইওয়ান দখলে উদ্যত হবে চিন৷ আর চিনের সাম্রাজ্য বিস্তার নিশ্চিত ভাবেই নয়াদিল্লির কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠবে৷ চিনের শক্তিবৃদ্ধিতে ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সঙ্কট তৈরি হবে৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বাড়বে লালফৌজের আগ্রাসন৷ তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল ইতিমধ্যেই ইউক্রেন সংকে মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছে বেজিং৷
উল্লেখ্য, ক্রাইমিয়া যুদ্ধের ইতি টেনে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি ও সুস্থিতির লক্ষ্যে ২০১৪-১৫ সালে দু’দফায় শান্তিচুক্তি সাক্ষর করেছিল রাশিয়া এবং ইউক্রেন। বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে হয়েছিল সেই চুক্তি৷ ভারত-সহ বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যেই সেই চুক্তির প্রতি দায়বদ্ধতা বজার রাখার আবেদন জানিয়েছে মস্কোর কাছে। কিন্তু আগ্রাসী মনোভাব থেকে সরে আসেননি পুতিন৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>