৫ লক্ষ গ্রাম, ১০ কোটি পরিবারের কাছে যাবে RSS, হবে রাম মন্দিরের অর্থ সংগ্রহ

দীর্ঘ দশকের বিতর্কের অবসান ঘটেছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে।‌ অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ আসার পরেই মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

নয়াদিল্লি: দীর্ঘ দশকের বিতর্কের অবসান ঘটেছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে।‌ অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের নির্দেশ আসার পরেই মন্দির নির্মাণের ক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। গতবছর করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই ৫ অগাস্ট ভূমি পূজা হয়ে যায় রাম মন্দিরের, করেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার মন্দির নির্মাণের জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাবে আরএসএস কর্মীরা! জানা গিয়েছে কমপক্ষে ৫ লক্ষ গ্রাম এবং ১০ কটি পরিবারের কাছে রাম মন্দিরের জন্য অনুদান চাওয়া হবে।

আরএসএস যাচ্ছে, গত কয়েকদিন ধরে বিজেপির সঙ্গে তাদের সমন্বয় কমিটির বৈঠক হয়েছে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবার রাম মন্দির নির্মাণের খরচ জোগাড় করতে অনুদান নেওয়া হবে আমজনতার থেকেও। এই বিষয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বর্ষীয়ান নেতা কৃষ্ণ গোপাল জানিয়েছেন, অনুদানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম টাকা হবে ১০, এছাড়া ১০০ এবং ১০০০ টাকার কুপন থাকবে। তবে কোনও ভক্ত যদি চান তাহলে বেশি টাকার অনুদান দিতেই পারেন। একইসঙ্গে তিনি জানান, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের জন্য ভূমিপূজা হওয়ার পরেই ভক্তদের আশা এবং আকাঙ্খা অনেক বেড়ে গেছে। তাদের জন্যই এখন এক অত্যাশ্চর্য মন্দির গড়ার লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে মন্দির নির্মাণের জন্য অনুদান সংগ্রহের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে আরএসএস। 

অযোধ্যা মামলা৷ সমস্যার সূত্রপাত ১৯৯২ সালে৷ হিন্দু সংগঠনের তরফে দাবি জানানো হয়, বাবরি মসজিদ আসলে রাম জন্মভূমি! রাম জন্মভূমির উপর বাবরি মসজিদ বানিয়েছিল বলেও অনেকে দাবি করে থাকেন৷ ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙা নিয়ে দেশজুড়ে হিন্দু-মুসলিম সংঘর্ষের ঘটনায় গোটা বিশ্বের কাছে মুখ পোড়ে ভারতের৷ ১৯৯২ সালের দাঙ্গার বলি হন অন্তত দু’হাজার মানুষ৷ কোনক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর শুরু হয় মামলা৷ ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, বিতর্কিত ২.৭৭ একর এই জমিকে তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হবে৷ একটি ভাগ পাবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড৷ অন্য একটি ভাগ পাবে নির্মোহী আখাড়া৷ তৃতীয় ভাগটি রাম লাল্লার জন্য বরাদ্দ হবে৷ এই সিদ্ধান্তের পরেই সুপ্রিম কোর্টে ১৪টি মামলা দায়ের হয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *