RSS-এ নাম লেখাচ্ছেন ‘তৃণমূলী’ মিঠুন চক্রবর্তী? তুঙ্গে চর্চা

নয়াদিল্লি: তিনি বাংলার চলচ্চিত্র দুনিয়ার অন্যতম পরিচিত মুখ৷ সারদাকাণ্ডে জড়িয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি৷ সারদা-বিতর্কে জড়িয়ে নিজেকে কার্যত অন্তরালে রেখে দিয়েছিলেন বাংলার প্রখ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী৷ কিন্তু, এবার সেই মিঠুন চক্রবর্তী পৌঁছে গেলেন আরএসএসের সদরদপ্তরে৷ মিঠুন চক্রবর্তীর আরএসএসের সদরদপ্তর মহারাষ্ট্রের নাগপুরে হাজিরা ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা৷ তাহলে কি আরএসএসের নাম লেখাচ্ছেন মিঠুন? সারদা-কাণ্ডে নাম জড়িয়ে

3 stocks recomended

নয়াদিল্লি: তিনি বাংলার চলচ্চিত্র দুনিয়ার অন্যতম পরিচিত মুখ৷ সারদাকাণ্ডে জড়িয়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি৷ সারদা-বিতর্কে জড়িয়ে নিজেকে কার্যত অন্তরালে রেখে দিয়েছিলেন বাংলার প্রখ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী৷ কিন্তু, এবার সেই মিঠুন চক্রবর্তী পৌঁছে গেলেন আরএসএসের সদরদপ্তরে৷ মিঠুন চক্রবর্তীর আরএসএসের সদরদপ্তর মহারাষ্ট্রের নাগপুরে হাজিরা ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা৷ তাহলে কি আরএসএসের নাম লেখাচ্ছেন মিঠুন?

সারদা-কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর হঠাৎই ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেন মিঠুন চক্রবর্তী৷ রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ হিসেবে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রাজনীতি থেকে কার্যত অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বাংলার এই প্রখ্যাত অভিনেতা৷ শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রাজনীতির আঙিনা থেকে সন্ন্যাস নেওয়া তৃণমূল সাংসদের আরএসএসের সদরদপ্তরে পৌঁছে যাওয়াকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে নানান বিতর্ক৷

সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছেন, হঠাতই আরএসএসের সদরদপ্তর মহারাষ্ট্রের নাগপুরে হাজিরা দেন মিঠুন চক্রবর্তী৷ সেখানে সঙ্ঘ প্রধানের মূর্তিতে ফুল দিয়ে করেন প্রণাম৷ দেখা করেন আরএসএসের প্রথম শ্রেণির নেতাদের সঙ্গে৷ বেশকিছুক্ষণ বৈঠকও করেন তিনি৷ পরে, সেখান থেকে বেরিয়ে যান অভিনেতা মিঠুন৷

সারদা-কাণ্ডে মিঠুন চক্রবর্তী ছিলেন একমাত্র অভিযুক্ত, যিনি ইডির দপ্তরে গিয়ে সারদার টাকা ফেরত দিয়ে আসেন৷ তারপর থেকে নিজেকে রাজনীতি থেকে কার্যত গুটিয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন এই সাংসদ৷ ২০১৪ সালের তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় মনোনীত হন মিঠুন চক্রবর্তী৷ কিন্তু সাংসদ হিসাবে কাজ শুরু হতে না হতেই প্রকাশ্যে আসে সারদা-কাণ্ড৷ সারদায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েন ডিস্কো ড্যান্সার খ্যাত এই অভিনেতা৷ সেই সময় থেকেই রাজনীতি থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নেন৷ রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে সর্বসাকুল্যে তিন থেকে চার দিন হাজিরা দিয়েছিলেন মিঠুন৷ অসুস্থতার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন ইস্তফা৷

এরপর রাজনীতিতে রাজনীতির আঙিনায় তাঁকে খুব একটা দেখা যায়নি৷ অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে কার্যত লুকিয়ে রেখেছিলেন মিঠুন৷ ছোটপর্দায় কয়েকটি রিয়্যালিটি শোয়ে তাঁকে দেখা গেলেও বড়পর্দায় খুব একটা ঝলক দেখা যায়নি৷ রাজনীতি ও অভিনয় জীবনে কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া মিঠুন চক্রবর্তী হঠাৎ আরএসএসের সদরদপ্তরে হাজিরা ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে জল্পনা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =