নয়াদিল্লি: লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত৷ সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে একাধিক বৈঠকেও মেলেনি রফা সূত্র৷ সীমান্তে বারবার আগ্রাসী পদক্ষেপ করছে চিন৷ এরই মধ্যে পাক সীমান্তে শুরু হয়েছে গোলাবর্ষণ৷ কিন্তু সীমান্ত নিরাপত্তায় একচুল ফাঁকও রাখতে চায় না ভারত৷ শত্রুদের জবাব দিতে পুরদস্তুর তৈরি ভারতীয় সেনা৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতেই সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে নতুন সংযোগ সিস্টেমের জন্য ছাড়পত্র দিল প্রতিরক্ষামন্ত্রক৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি নজরে রেখেই সেনাবাহিনীর জন্য ৭,৮০০ কোটি টাকার নতুন কমিউনিকেশন সিস্টেমের জন্য সবুজ সংকেত দিল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক৷ বৃহস্পতিবার ‘ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি’ এই বিষয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে।
আরও পড়ুন- ছিঃ! মিডিয়ার টুটি চেপে লজ্জার মাথা খেল যোগীর পুলিশ! গণধর্ষণ তদন্তে প্রহসন?
এছাড়াও ভারতীয় সেনার হাতে ১০ লক্ষ হ্যান্ড গ্রেনেড পৌঁছে দিতে আরও ৪০৯ কোটি টাকার চুক্তি সাক্ষর করা হয়েছে৷ নাগপুরের ইকোনমিক এক্সপ্লোসিভ লিমিটেডের সঙ্গে এই চুক্তি সাক্ষর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ আরও একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ আর্মি স্ট্যাটিক সুইচড কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফেজ ফোর লাগু করতে বহু পুরনো একটি প্রস্তাবে সায় দিয়েছে ভারতের ক্যাবিনেট কমিটি অন সিকিউরিটি৷ এর ফলে টেলিকমিউনিকেশন সেক্টরের আওতায় এবার সীমান্তের নিরাপত্তাকে ঢেলে সাজানো হবে। ৭,৭৯৬ কোটি টাকার চুক্তি সাক্ষর করা হয়েছে৷ আগামী ৩ বছরের মধ্যে সীমান্তের নিরাপত্তা ঢেলে সাজবে। প্রত্যন্ত এলাকায় কোনও অপারেশন চলার সময়ও এই সিস্টেমের হাত ধরে সংযোগ রক্ষ করা সম্ভব হবে৷ ফরোয়ার্ড লোকেশনেও এই সিস্টেম কার্যকর থাকবে৷ এই সিস্টেম কার্যকর হলে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা৷
আরও পড়ুন- কেন তাড়াহুড়ো করে সৎকার? যোগী পুলিশ-প্রশাসনের কাছে ব্যাখ্যা তলব হাইকোর্টের
শীতের মরশুম শুরু হতে চলেছে৷ তখন আরও বেশি কঠিন হয়ে উঠবে লাদাখ পরিস্থিতি৷ সেই দিকে তাকিয়েই কেন্দ্র এই সিস্টেম চালু করতে চলেছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত৷ যাতে শীতের প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও চিনা সেনাদের যোগ্য জবাব দেওয়া সম্ভব হয়৷