নয়াদিল্লি: স্রেফ সংখ্যাগরিষ্ঠতার বদলে আরটিআই সংশোধনী বিল লোরসভায় পাশ করিয়ে দিয়েছে বিজেপি৷ একপাতা চিঠি লিখে তথ্য জানার অধিকার আইন সংশোধনী বিলের তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী৷ তাঁর অভিযোগ, এই বিল পাশ করিয়ে তথ্য জানার অধিকারকে লুঘু করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র৷
সোমবার বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভায় পাশ হয়ে যায় তথ্য জানার অধিকার আইন সংশোধনী বিল৷ এই আইনকে লঘু করে দেওয়া হবে বলে অভিযোগ তুলে আপত্তি জানায় বিরোধীরা৷ আরটিআই ধংসাত্মক বিল বলেও বিরোধীদের তরফে মন্তব্য করা হয়৷ এই বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোরও দাবি তোলেন বিরোধী সাংসদরা৷ কিন্তু, সেই আপত্তি উড়িয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে বিল পাশ করিয়ে নেয় বিজেপি৷ তবে, লোকসভায় বিল পাশ হয়ে গেলেও রাজ্যসভায় তা খারিজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে৷ কেননা, ২০২১ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু বিজেপি৷
Sonia Gandhi, Congress: It’s clear that the present Central Govt sees the RTI Act as a nuisance & wants to destroy the status & independence of the Central Information Commission which was put on par with the Central Election Commission and Central Vigilance Commission. pic.twitter.com/gsy5lqw7on
— ANI (@ANI) July 23, 2019
কিন্তু, ঠিক কী নিয়ে এত বিতর্ক? জানা গিয়েছে, বর্তমানে তথ্য কমিশনারের কাজের মেয়াদ পাঁচ বছর৷ তবে কেন্দ্রীয় সরকারের মতানুযায়ী এই মেয়াদকাল বাড়ানো হতে পারে৷ তাঁদের বেতনও নির্ধারণ করবে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তথ্য কমিশনারের বেতন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের সমান৷ বিরোধীদের অভিযোগ, এর মাধ্যমে কমিশনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র৷ তথ্য জানার অধিকার আন্দোলনকারীদের দাবি, এই পদক্ষেপের ফলে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে কমিশনের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হবে৷ যদিও সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, তথ্য কমিশনারের কোনও ক্ষমতা কমানো হচ্ছে না৷ শুধুমাত্র কতগুলি বিশৃঙ্খলা ঠিক করা হচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, আমরা হস্তক্ষেপ করছি না৷ প্রতিষ্ঠানের স্বশাসনে প্রভাব পড়ার মতো কিছু করা হবে না৷