মুম্বই: সুশান্ত সিং রাজপুত মৃতু মামলায় এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন তাঁর বাবা কেকে সিং৷ তাঁর অভিযোগ, ‘‘রিয়া দীর্ঘ দিন ধরে সুশান্তকে বিষ খাইয়ে তাঁকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে৷ রিয়াই তাঁর ছেলের হত্যাকারী৷’’ সিবিআই যাতে রিয়াকে গ্রেফতার করে তাঁকে যথাযথ শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করে, সেই আর্জিও জানিয়েছেন কেকে সিং৷ এর আগে অপরাধীকে হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন সুশান্তের দিদি সোয়েতা সিং কীর্তিও৷ তিনি টুইট করে বলেন, ‘‘কী করে এই ধরনের জঘন্য অপরাধ করার পরও একজন এভাবে প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাতে পারে? আমি এর জবাব চাই৷’’
আরও পড়ুন- কেন মর্গে ঢুকেছিলেন রিয়া, হাসপাতাল ও পুলিশকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের
সুশান্তের মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের দায়িত্ব সিবিআই-এর হাতে আসার পর থেকেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ প্রকাশ্যে এসেছে রিয়ার সঙ্গে জয়া সাহা, গৌরব, শ্রুতি মোদী, স্যামুয়েল মিরান্ডাদের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট৷ যেখানে কখনও সুশান্তকে সিবিডি ওয়েলের মতো নিষিদ্ধ মাদক আবার কখনও এমডিএমএ-র মতো মাদক দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়েই রিয়া সুশান্তকে গোপনে তা পান করাতেন। রিয়া চক্রবর্তীর মোবাইল থেকে উদ্ধার হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মাদক সংক্রান্ত তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এর পরেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন সুশান্তের বাবা কেকে সিং৷ তিনি বলেন, ‘‘রিয়া চক্রবর্তী দীর্ঘদিন ধরে আমার ছেলে সুশান্তকে বিষ খাইয়েছে, ও-ই আসল খুনি। তাঁকে এবং তাঁর সহযোগীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।”
আরও পড়ুন- ‘NEET-JEE পিছনোর অর্থ পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের সঙ্গে আপোষ করা’ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি শিক্ষাবিদদের
ইতিমধ্যেই নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো রিয়া চক্রবর্তী এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে ১৫ নম্বর ধারায় মামলা দায়ের করেছে। মাদক বিরোধী সংস্থাটি “গাঁজা কেনা ও তার ব্যবহার” এবং “কোনও অপরাধ করার অভ্যাস ও ফৌজদারি ষড়যন্ত্র” সম্পর্কিত আইনের ধারাগুলির অধীনে এই অভিযোগগুলির তদন্ত শুরু করেছে।
অন্যদিকে, ইডির হাতেও রিয়ার একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হাতে এসেছে৷ রিয়ার বিরুদ্ধে সুশান্তের টাকা নয়ছয় করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রমাণ হিসাবে এই চ্যাটকেই ব্যবহার করতে চলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ অন্যদিকে, সুশান্তের ফ্ল্যাটমেট সিদ্ধার্থ পিঠানি, দীপেশ সাওয়ান্ত, নীরজ সিং এবং স্যামুয়েল মিরান্ডাকে জেরা করেও একাধিক তথ্য হাতে এসেছে সিবিআই-এর৷