গুজরাট: বয়স বাড়ছে। আস্তে আস্তে চুল পাকতে শুরু করেছে। চামড়ায় ভাজ পড়বে পড়বে করছে। তা বলে তো প্রেম আটকে থাকতে পারে না। তা সে যতই হোক না কেন মেয়ের শ্বশুর। কথাই বলে প্রেমে পড়ার জন্য কোনও বয়স লাগে না। আর একবার প্রেমে পড়লে সমাজ, লৌকিকতা সব কেমন যেন তুচ্ছ হয়ে যায়। তাই তো বিয়ের কয়েকদিন আগেই বরের বাবার সঙ্গে পালিয়ে গেলেন কনের মা। এই খবর সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল। মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরে খবর খোঁজ রাখে কে।
সপ্তাহ দুই ছুটি কাটানোর পর ফিরে আসেন তাঁরা। জানা যায় ২৬ জানুয়ারি তাঁরা ফিরে এসেছিলেন। কিন্তু ফের তাঁরা পালিয়ে গিয়েছেন। তবে দুই পরিবার প্রথমবারের মতো এবারে পুলিশে আর খবর দেননি। কারণ তাঁরা ভালো করেই জানেন, কার সঙ্গে পালিয়েছেন আর কোথায় গিয়েছেন।
সুরাতের বাসিন্দা ৪৬ বছরের হিম্মত পান্ডবের ছেলের সঙ্গে নবসারি নিবাসী ৪৩ বছরের শোভনা রাভালের বিয়ে ঠিক হয়। এই জানুয়ারিতেই সেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী বিয়ের কেনাকাটা সব চলছিল জোর কদমে। তবে দেখাশোনার সময় জানা যায় শোভনা ও হিম্মত ছোটবেলার বন্ধু। বিয়ের পর শোভনা নবসারিতে চলে আসে। আর কাজের সূত্রে সুরাতে চলে যান হিম্মত। এতদূর সব ঠিক ছিল। কিন্ত দুই পরিবারের সকলের অজান্তে কখন যে বরের বাবার সঙ্গে কনের মায়ের মন দেওয়া-নেওয়া হয়ে যায়, তা বুঝতে পারেনি কেউ। একপাশে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে অন্যদিকে ছোটবেলার প্রণয় ফিরে পাওয়া। কোন দিকে যাবেন তাই বুঝতে পারেননা তাঁরা। অবশেষে, লাজ লজ্জার মাথা খেয়ে মেয়ের শ্বশুরের হাত ধরে পালালেন কনের মা।
প্রথমে এই ঘটনা কেউ বুঝতে পারেননি। সুরাতে ও নবসারিতে পৃথক পৃথকভাবে মিসিং ডায়েরি করা হয়। ধীরে ধীরে সব পরিষ্কার হয়ে যায়। বোঝা যায় সব কিছু। তাই দুই সপ্তাহ পরে শোভনা ফিরলেও তাঁর স্বামী গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। বাধ্য হয়েই বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন তিনি। এবার শোভনা হিম্মতের হাত ধরে ফের পালালেন বাপের বাড়ি থেকে। তবে এবার ফেরার আর পরিকল্পনা নেই। শোনা গিয়েছে সুরাটে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকছেন। নতুন করে সংসার গড়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা।