৯০ ঘণ্টা ধরে ১৫০ ফুট গর্তেই পড়ে একরত্তি, উদ্ধারে ঝাঁপালেন বাসিন্দারা

আজ বিকেল: দেখতে দেখতে ৯০ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে, এখনও উদ্ধার করা যায়নি খেলতে খেলতে গর্তে পড়ে যাওয়া পাঞ্জাবের শিশু ফতেবীরকে। খেলতে গিয়ে ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় নিচে পড়ে যায় সে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলায়। রবিবার স্থানীয় প্রশাসন জোরকদমে উদ্ধার কাজের দাবি করেছিল ঠিকই, তবে সোমবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে

৯০ ঘণ্টা ধরে ১৫০ ফুট গর্তেই পড়ে একরত্তি, উদ্ধারে ঝাঁপালেন বাসিন্দারা

আজ বিকেল: দেখতে দেখতে ৯০ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে, এখনও উদ্ধার করা যায়নি খেলতে খেলতে গর্তে পড়ে যাওয়া পাঞ্জাবের শিশু ফতেবীরকে। খেলতে গিয়ে ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় নিচে পড়ে যায় সে। গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের সাঙ্গরুর জেলায়। রবিবার স্থানীয় প্রশাসন জোরকদমে উদ্ধার কাজের দাবি করেছিল ঠিকই, তবে সোমবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চলল, ফতেবীর এখনও সেই গর্তেই পড়ে আছে। ৯ ঘণ্টা গভীর গর্তে থাকার পর তাকে প্রাণে বেঁচে ফেরানো সম্ভব কি না, তানিয়েও শুরু হয়েছে জল্পনা।

এই সাঙ্গরুর ডেপুটি কমিশনার ঘনশ্যাম থোরি বলেন, “উদ্ধার কাজের একদম শেষপর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছি আমরা। আজকেই শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি। শুক্রবার শিশুটির কাছ পর্যন্ত অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হলেও কোনও খাবার দেওয়া যায়নি। প্রথমে শিশুটি অচৈতন্য হয়ে পড়লেও শনিবার নিচে পাঠানো ক্যামেরার মাধ্যমে তাকে নড়াচড়া করতে দেখা গিয়েছে। তবে এর আগে কোথাও এত গভীর গর্তে পড়ে থাকা কোনও শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা হয়েছে বলে মনে হয় না। কিছুদিন আগে হরিয়ানার হিসারে যে ঘটনাটি ঘটেছিল তাতে কুয়োর গভীরতা আরও কম ছিল।”

বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় একমাত্র সন্তান ফতেবীরকে স্থানীয় একটি মাঠে খেলতে নিয়ে গিয়েছিলেন তার মা। সেসময় আচমকা একটি পরিত্যক্ত একটি কুয়োর নিচে পড়ে যায় শিশুটি। তার মা অনেক চেষ্টা করেও রক্ষা করতে পারেনি। কুয়োটির উপরে একটি কাপড় চাপা দেওয়া থাকায় সেটি কারোর নজরে পড়েনি বলেই মনে করা হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার খবর পেয়েই তাকে উদ্ধারের সবরকম চেষ্টা করেন পরিবারের লোকেরা। কিন্তু, সবই ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এনডিআরএফ)। শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে কুয়োটির ১২৫ ফুট গভীর পর্যন্ত অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × four =