নয়াদিল্লি: সংরক্ষণ কোনও মৌলিক আধিকার নয়৷ বৃহস্পতিবার আরও একবার সেই কথা স্পষ্ট করে দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ তামিলনাড়ু মেডিক্যাল কলেজে ওবিসি কোটায় ভর্তি নিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল৷ মেডিক্যাল কলেজে ওবিসি কোটায় আসন না থাকায়, মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলেন কয়েকজন ওবিসি প্রার্থী৷
এদিন বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেয়, সংরক্ষণ কারও মৌলিক অধিকার নয়৷ তাই কোটার সুবিধে না পেলে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দাবি করা যাবে না। ওই পড়ুয়াদের দাবি ছিল, তামিলনাড়ুর মেডিক্যাল কলেজগুলিতে তাঁদের জন্য আসন সংরক্ষিত না রেখে তাঁদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। পি
পিটিশনে আরও বলা হয়, তামিলনাড়ুর আইন অনুযায়ী ওবিসি প্রার্থীদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ রয়েছে৷ কিন্তু মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সে নিয়ম মানা হয়নি৷
তামিলনাড়ুর আইন মেনে কেন্দ্র ওবিসিদের জন্য ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ না দেওয়ায় শীর্ষ আদালতে পিটিশন দায়ের করেছিল ডিএমকে এবং সিপিআই-ও৷ কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট তা খারিজ করে দেয়৷
তাঁদের দাবি ছিল, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে তামিলনাড়ুর মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ৫০ শতাংশ ওবিসি কোটা রাখতে হবে। তামিলনাড়ুতে ওবিসি, তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের জন্য ৬৯ শতাংশ কোটা রয়েছে৷ এর মধ্যে ওবিসি কোটা প্রায় ৫০ শতাংশ। প্রার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষিত না হলে, তাঁদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হবে৷ যতদিন না সংরক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, ততদিন ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্টের কাউন্সেলিং বন্ধ রাখার আবেদনও জানান তাঁরা৷
কিন্তু শীর্ষ আদালত প্রশ্ন করে, এতে কার অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে? শুধুমাত্র মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রেই ৩২ নম্বর ধারা রয়েছে৷ কিন্তু সংরক্ষণ তো কোনও মৌলিক অধিকারই নয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ কোনও মৌলিক অধিকার নয়৷