দেরাদুন: সুড়ঙ্গের বাইরে রাখা হয়েছে একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স। সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বের করা গেলেই তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। এই মুহূর্তে প্রশাসন পুরোপুরি প্রস্তুত এই উদ্ধারকাজ নিয়ে এবং আশাবাদী যে সন্ধের মধ্যেই উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হবে। ৪১ জন শ্রমিকদের সুস্থভাবে বার করে আনা সম্ভব হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে তারা যে ১০০ শতাংশ সুস্থ থাকবেন না তাও স্পষ্ট। এই কারণে চাকা লাগানো ট্রলির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হামাগুড়ি দিয়ে সুড়ঙ্গ থেকে বাইরে আসার ক্ষমতা নেই শ্রমিকদের। তাই চাকা লাগানো ট্রলি ব্যবহার করে তাদের বার করে আনা হবে। আসলে দীর্ঘ ১৭ দিন সুড়ঙ্গে আটক থাকার কারণে তাঁরা শারীরিক ভাবে আর সক্ষম নন। হামাগুড়ি দিয়ে বার করার চেষ্টা করা হলে তারা আহত হতে পারেন। এই কারণেই এই ব্যবস্থা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, সুড়ঙ্গের ভিতরে ঢুকে পড়েছেন জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা। সুড়ঙ্গের বাইরে প্রশাসনের পাশাপাশি অপেক্ষায় রয়েছে শ্রমিকদের পরিবার।
প্রশাসন জানিয়েছে, সুড়ঙ্গের বাইরে রাখা হয়েছে একাধিক অ্যাম্বুল্যান্স। সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিকদের বের করা গেলেই তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। মোট ৪১টি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা আছে বলে জানানো হয়েছে, পাশাপাশি ৪১টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কোনও শ্রমিকের অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে চপারে করে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করানো হবে হাসপাতালে।