বিগ বাজার অধিগ্রহণ মুকেশ আম্বানির, হবে কর্মসংস্থান, বলছে রিলায়েন্স

 পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই অধিগ্রহণের ফলে ফিউচার রিটেলের ১৫৫০টি ও ফিউচার লাইফস্টাইল ফ্যাশনের ৩৫৪টি বিপণি রিলায়েন্সের হাতে আসবে। তালিকায় রয়েছে, বিগ বাজার, ব্র্যান্ড ফ্যাক্টরি, এফবিবি, ইজি-ডে, হেরিটেজ ফ্রেশ, ডব্লিউএইচ-স্মিথ।

নয়াদিল্লি:  করোনা আবহে একের পর এক বানিজ্যিক সাফল্যের মুখ দেখছেন মুকেশ আম্বানি।  এবার আরও এক বড়সড় সাফল্য পেল মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। বিগ বাজার–সহ ফিউচার গ্রুপের খুচরো বিপণনের বাজার অধিগ্রহণ করল রিলায়েন্স গ্রুপ।

শনিবার রিলায়েন্স গোষ্ঠীর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ২৪ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ভারতের “রিটেল কিং” কিশোর বিয়ানির ফিউচার গোষ্ঠীর মালিকানা এখন তাঁদের হাতে। রিলায়েন্স জানিয়েছে, একীকরণ প্রকল্পের অংশ হিসাবে অধিগ্রহণটি করা হচ্ছে, যেখানে ফিউচার গ্রুপের খুচরা ব্যবসায় পরিচালিত কয়েকটি সংস্থাকে ফিউচার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডে (এফইএল) যুক্ত করা হচ্ছে।এই পদক্ষেপ একটি বহুজাতিক সংস্থার বিপুল বিনিয়োগের সাক্ষী হিসেবে ভারতীয় খুচরা শিল্পে আম্বানির অবস্থানকে সুসংহত করবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই অধিগ্রহণের ফলে ফিউচার রিটেলের ১৫৫০টি ও ফিউচার লাইফস্টাইল ফ্যাশনের ৩৫৪টি বিপণি রিলায়েন্সের হাতে আসবে। তালিকায় রয়েছে, বিগ বাজার, ব্র্যান্ড ফ্যাক্টরি, এফবিবি, ইজি-ডে, হেরিটেজ ফ্রেশ, ডব্লিউএইচ-স্মিথ। এই খুচরা ও পাইকারি অধিগ্রহণ আরআরভিএল এর সম্পূর্ণ মালিকানার সহায়ক রিলায়েন্স রিটেইল এবং ফ্যাশন লাইফস্টাইল লিমিটেড (আরআরএফএলএল) এ স্থানান্তরিত হবে। পাশাপাশি,  সরবরাহ এবং গুদামজাতকরণের কাজ আরভিভিএলে স্থানান্তরিত হবে।তবে, ফিউচারের বিমা ও আর্থিক পরিষেবা সংক্রান্ত ব্যবসাগুলি এই চুক্তির আওতায় নেই। রিলায়েন্সের এই লগ্নি বিগত তিন দশক ধরে পিছিয়ে পড়া কিশোর বিয়ানির ফিউচার গোষ্ঠীর হাল ধরবে এবং তাঁকে একাধিক বিতর্ক থেকে মুক্তি দেবে ।

 

রিলায়েন্স রিটেল ভেঞ্চার্স লিমিটেডের কর্ণধার তথা মুকেশের মেয়ে ঈশা আম্বানির কথায়,এই অধিগ্রহণের মাধ্যমে তাঁরা ফিউচার গোষ্ঠীর মতো নামী ব্র্যান্ডকে  নিজের সংস্থার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। একই সঙ্গে ফিউচার গোষ্ঠীও তাদের নিজস্ব ব্যবসায়িক পরিকাঠামো বজায় রাখতে পারবে।  বিজনেস অ্যানালিসিস্টদের মতে আম্বানির এই বিশাল অংকের লগ্নি ই-কমার্স জিয়েন্ট  আমাজন, ওয়ালমার্টের মত সংস্থাগুলিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।  

করোনা আবহেও ফেসবুক-গুগল-সহ একাধিক সংস্থা রিলায়েন্সের শেয়ার কিনেছে। ফলে  সংস্থার লাভের পরিমাণ উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে।  বর্তমানে বিশ্বের ধনীদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন মুকেশ আম্বানি। লকডাউনের জেরে ভারতের কাজের বাজারে যে প্রভাব পড়েছে, যেভাবে একের পর এক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, হাজার হাজার কর্মী বেকারত্বের সম্মুখীন হচ্ছেন। সেখানে মুকেশ আম্বানির এই পদক্ষেপ বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলেই আশা করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *