আজ বিকেল: আর্থিক দৈন্যদশায় শেষ, তাই মার্কিন সংস্থাকে ব্যবসার সদর দপ্তর বেচে দিচ্ছেন রিলায়েন্স গ্রুপের মালিক অনিল আম্বানি। এবার দেনার বোঝা কমাতে রিলায়েন্স গ্রুপের সদর দপ্তর বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। তবে বিক্রি না করে লিজেও দিতে পারেন বলে খবর। এর আগে ৫৫০ কোটির ধার শোদ করতে পারছিলেন না অনিল। সেই সময় ভাইকে এরিকসন সংস্থার ঋণভার থেকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন দাদা মুকেশ আম্বানি। তবে এবারের অবস্থা আরও খারাপ।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে আম্বানিরা দুই ভাই নিজেদের ব্যবসার ভাগ বাঁটোয়ারা করে আলাদা হয়ে যান। ওই সময়ই পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে দক্ষিণ মুম্বইয়ের ব্যালার্ড এস্টেট পান অনিল। তাঁর সাত লক্ষ বর্গফুটের বর্তমান কার্যালয় বিক্রি করে সদর কার্যালয় সেখানেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর।তাই মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজে অবস্থিত রিলায়েন্স অনিল ধিরুভাই আম্বানি গ্রুপের সদর দপ্তর বিক্রির তোরজোর শুরু হয়েছে। ঘনিষ্ঠ মহলে এই দপ্তর বিক্রির কথা স্বয়ং জানিছেন অনিল আম্বানি। এই অফিসই বিক্রির জন্য মার্কিন সংস্থা ‘ব্ল্যাকস্টোন’-এর সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তাও এগিয়েছে বলে খবর। সংস্থার একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্টের সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বিক্রি বা লিজের জন্য পরামর্শদাতা সংস্থা জেএলএল-কে নিয়োগ করেছে অনিলের সংস্থা।
জানা গিয়েছে সান্তাক্রুজের এই অফিসটি নিয়ে অবশ্য কিছু আইনি জটিলতাও রয়েছে। তবে সেসব কাটিয়ে বিক্রি করতে পারলে অবশ্য ১৫০০ থেকে ২০০০ কোটি টাকা অনিল পেতে পারেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ফলে সেই টাকায় অনিলের সংস্থাগুলির দেনা কিছুটা হলেও লাঘব হবে এমনটাই আশা শিল্প মহলের বিশেষজ্ঞদের। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮ সালের রিলায়েন্স গ্রুপ অব কোম্পানিজ-এর মোট দেনা ছিল ১.৭ লক্ষ কোটি টাকা। তবে বছর ঘুরতেই সেই দেনার বোঝা আরও চেপে বসেছে। কিন্তু ২০০৫-এ দুই ভাইয়ের ব্যবসা আলাদা হওয়ার সময় অনিল আম্বানির রেস্তঁ ভালই ছিল। সেই সময় তাঁর সম্পত্তি ছিল ৩০০ কোটির এরপর দিন যত গিয়েছে ব্যবসার পড়তি হয়েছে।