ইন্দোর: চিকিৎসক এবং চিকিৎসা-কর্মীদের উপর স্থানীয় জনতার আক্রমণের ঘটনার সাফাই দিতে হল বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের তাত পাত্তি এলাকায় বৃহস্পতিবার যা ঘটেছে, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। বেনিয়োমের অভিযোগ তুলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ওই এলাকার জনতা। ইট, পাটকেল, পাথর ছোঁড়া হয়। পালিয়ে বাঁচেন ডাক্তাররা। সারা দেশ সেই দৃশ্য দেখেছে।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কৈলাস বলেছেন, “শহরে যা ঘটনা ঘটেছে তাতে শহরবাসী হিসাবে আমি লজ্জিত। চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের সঙ্গে যা ব্যবহার করা হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি হওয়া উচিত নয়। আমি ডাক্তার, স্থানীয় প্রশাসন এবং নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি।” ইন্দোরের তাত পাত্তি এলাকায় ৫৪টি পরিবারকে হোম-আইসোলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মধ্যপ্রদেশ সরকার। তাতেই সমস্যা বাধে। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
এই সময় কিছু চিকিৎসক আরও কয়েকটি পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেয়। তাতেই আগুনে ঘী পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি তোলেন, ভুল চিকিৎসা করছেন ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরা। জোর করে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হচ্ছে। করোনার স্ক্রিনিং-এর বদলে হেনস্থা হতে হচ্ছে। এরপর ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা এলাকায় পৌঁছলে তাদের দিকে ইট-পাথর ছুঁড়ে মারে বাসিন্দারা। পুলিশ সেখানে গিয়ে ডাক্তার সাস্থকর্মীদের উদ্ধার করে। ইন্দোরের মত না হলেও পশ্চিমবঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটেছে। বাংলাতেও চিকিৎসক দম্পতিকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চিকিৎসকদের উপর হামলাকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তবে বাংলায় বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিতণ্ডা চলছে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করছেন, বাংলায় ডাক্তার-নার্সরা মাস্ক, সানিটাইজার পাচ্ছেন না। এভাবে তারা পরিষেবা দেবেন কি করে? দিলীপের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী ভাষণ দিচ্ছেন, প্রশাসন কাজ করছে না। উনি মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছেন। অন্যদিকে, সিপিএম এবং বামপন্থী দলগুলিও একই অভিযোগ করেছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি ঠিক করেন, মৃত্যুর কারণ কী, তবে তা দুর্ভাগ্য। করোনার অবহে কিছুদিন রাজনৈতিক বাক বিতণ্ডা বন্ধ থাকলেও, তা আবার তা চালু হয়ে গিয়েছে।