গণ টোকাটুকিতে রেকর্ড, ৯৫৯ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কী ভুল করল জানেন?

আজ বিকেল: গণ টোকাটুকির প্রসঙ্গ এলেই চোখের সামনে শুধু বিহার নামটাই এতদিন জ্বল জ্বল করত। এবার তার আগেভাগে জুড়ে গেল গুজরাটের নাম। হ্যাঁ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুজরাট। সবকিছুতেই ভাল, সে লেখাপড়া হোক আর ব্যবসা বাণিজ্য, চাকরি বিজ্ঞান বিদেশে থাকা। স্টেটাস সবেতেই এক নম্বরে গুজরাট। এবার গণটুকলিতেও গোটা দেশকে ছাপিয়ে গেল এই রাজ্য। আর টুকলির প্রসঙ্গটিও

গণ টোকাটুকিতে রেকর্ড,  ৯৫৯ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী কী ভুল করল জানেন?

আজ বিকেল:  গণ টোকাটুকির প্রসঙ্গ এলেই চোখের সামনে শুধু বিহার নামটাই এতদিন জ্বল জ্বল করত। এবার তার আগেভাগে জুড়ে গেল গুজরাটের নাম। হ্যাঁ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গুজরাট। সবকিছুতেই ভাল, সে লেখাপড়া হোক আর ব্যবসা বাণিজ্য, চাকরি বিজ্ঞান বিদেশে থাকা। স্টেটাস সবেতেই এক নম্বরে গুজরাট। এবার গণটুকলিতেও গোটা দেশকে ছাপিয়ে গেল এই রাজ্য। আর টুকলির প্রসঙ্গটিও বেশ মজার। একই সঙ্গে সাড়ে নশো পড়ুয়া টুকলি করল। পরীক্ষার খাতায় একই জায়গায় ভুল। চোখে তো পড়বেই, আর পড়তে না পড়তেই শিক্ষাদপ্তরের চোখ কপালে উঠেছে।

৯৫৯ জন ছাত্র-ছাত্রীর খাতায় লেখা একই উত্তর। শুধু তাই নয়। একদম একই জায়গায় ভুলও করেছে ৯৫৯ জনই। টোকাটুকির এমন বহর দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। গুজরাতের বোর্ডের ক্লাস টুয়েলভের পরীক্ষায় নিদর্শন মিলেছে এমন চমকপ্রদ গণটুকলির। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের গির-সোমনাথ ও জুনাগড়ে। সেখানকার উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা এবার চিরতরে বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেকেন্ডারি অ্যান্ড হায়ার সেকেন্ডারি এডুকেশন বোর্ড। বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একটা রচনা লিখতে গিয়ে ২০০ জন পড়ুয়া একই ভাবে রচনা শুরু করেছে। গতে বাঁধা একটাই লাইন, ঘুরেফিরে এসেছে সকলের রচনায়। এটা দেখেই প্রথম সন্দেহ হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। তারপর একে একে দেখা যায় ইকনমিক্স, ইংরেজি, স্ট্যাটিসটিক্স এবং অ্যাকাউন্টেন্সি, সব পরীক্ষাতেই লাইন দিয়ে টুকেছে পড়ুয়ারা। শেষ পর্যন্ত এমন টুকলিবাজদের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ৯৫৯-এ।

জানা গিয়েছে, অনেকদিন ধরেই টুকলির অভিযোগ জমা পড়ছিল বোর্ডের কাছে। একের পর এক অভিযোগ দেখেই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় উত্তরপত্রের স্ক্রুটিনি। এরপরই প্রকাশ্যে আসে জুনাগড় এবং গির-সোমনাথ জেলার পরীক্ষার সেন্টার গুলোর কীর্তি। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ বোর্ড কর্তৃপক্ষ ওই পড়ুয়াদের ফলাফল ২০২০ পর্যন্ত আটকে দিয়েছে। যারা টুকলি করেছে তাদের সব বিষয়েই ফেল করিয়ে দেওয়াহবে। এমন কাজ কেন করল তা জানতে প্রত্যেককেই ডেকে পাঠানো হয়েছে। বাতিল হয়েছে পরীক্ষাও। শোনা যাচ্ছে, শিক্ষকরাও নাকি পরীক্ষার হলে পড়ুয়াদের উত্তর বলে দিয়েছেন। এমনকী টাকা-পয়সার লেনদেনও হয়েছে। যেই শুনছে সেই চমকে উঠছে, পরীক্ষার হলে অল্প বিস্তর টোকাটুকি তো হয়ই, তাইবলে এমন গণ হারে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × five =